শিক্ষার্থীদের ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত বিএসবি গ্লোবাল
৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০০
ঢাকা: উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের থেকে ভিসার নামে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কর্তৃক ৮৫০ শিক্ষার্থীর ২৫০ কোটি অর্থ প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ করেছে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের একটা অংশ। তারা জানান দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে করেও তাদের এ সমস্যার কোন সুরাহা হচ্ছে না।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একদল শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তাদের এ সমস্যার সুরাহা চেয়ে তাদের উপদেষ্টা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হল:
১. বিএসবি কর্তৃক প্রতারিত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অর্থ জরিমানাসহ ফেরত দিতে হবে।
২. প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাউন্সিলরদের দেশবাসীর সামনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতা আনতে হবে।
৩. পরবর্তীতে আমাদের মত সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন উক্ত প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আর প্রতারিত না হয় সেই বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. টিউশন ফি ও ভিসা প্রসেসিং এর নাম করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া অর্থ বিদেশে পাচারের বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
৫. আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অনতিবিলম্বে আমাদের সকল ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও, মানববন্ধনে প্রতারণার স্বীকার হওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে উক্ত প্রতিষ্ঠান কৌশলে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি জমা দেওয়ার নাম করে আমাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফি জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে ও পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে, যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যন্ত হয় এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তারা বলেন, ‘পরবর্তীতে অনেক দিন দরবার করার পর পাওনা টাকার বিপরীতে কর্তৃপক্ষ অনেক পাওনাদারকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খাইরুল বাশার বাহার তার নিজের স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করে যা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখ্যান হয়। এরকম ভুক্তভোগের সংখ্যা আনুমানিক ১০০০ এর মত ও প্রত্যেকের পাওনাটাকার পরিমাণ গড়ে কুড়ি লক্ষ টাকা। টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়।’
উল্লেখ্য, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে ৮৫০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। এমনকি বিগত দুমাস আগে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সেই সেন্টারটি বন্ধ করে দিশে সেটার পরিচালক এ কে এম বাশার আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/এআইএন/এমপি