সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবি
৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৫
রাজশাহী: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মঙ্গল মার্ডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রমের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) রাজশাহীতে আলাদা দুই পক্ষের কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানায় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বরের ওই হামলার ৮ বছর উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন।
তিনি বলেন, রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা সাঁওতালদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে মঙ্গল মার্ডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান। কিন্তু গত আট বছরেও গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মেও তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার হয়নি। আমরা অতিদ্রুত তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার ও আসামিদের গ্রেফতার করে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান; সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন; অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা; সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি প্রকৃত জমি মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়াসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি সন্তোষ সিং বাবু, বগুড়ার সাবেক সভাপতি যোগেশ সিং, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিল গজাড়, সাধারণ সম্পাদক শীত কুমার উরাও, বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই দাবি জানিয়ে সকালে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের আরেক পক্ষ। পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গনেশ মার্ডী এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে কেন্দ্রীয় সদস্য রাজকুমার শাও, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশেন কুমার শ্যামদুয়ার ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/এসআর