ময়মনসিংহের সিএনজি স্টেশনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৪
৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪২
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুর বাইপাস এলাকায় আজহার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো চারজন। এ ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিকসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ সদরের নিজকল্পা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে তোফাজ্জল ওই সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
এর আগে একই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিমেল (৩২), আব্দুল কদ্দুস (৮৫) ও আবুল হোসেন (৪৫)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ইন্ট্রাকো এলপি গ্যাস লিমিটেডের ফিলিং স্টেশনে এলপিজি ট্যাংকার থেকে গ্যাস আনলোডের সময় লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হিমেলের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ও আহত আরও ১০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওই দিন (সোবার) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কিসমত গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের। গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হারগুজিরপাড় গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন।
এ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এখনো পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনজন, দুজন ভর্তি আছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা
সিএনজি ফিলিং স্টেশনের এ দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত হিমেলের মা ইয়াসমিন হেনা। মামলায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, মামলায় সিএনজি পাম্পের মালিক আজহারুল ইসলামসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ