Wednesday 13 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৭তম বিসিএসের বাদ পড়াদের আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৩

ফাইল ছবি: হাইকোর্ট

ঢাকা: ২৭তম বিসিএসের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়া ১ হাজার ১৩৭ জনের আপিল শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে করা রিভিউর লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে শুনানির দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আদালতে বাদ পড়া প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দীন দোলন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

আজকের আদেশের ফলে ২৭তম বিসিএসে থেকে বাদ পড়া ১১৩৭ জনের ভাগ্য নির্ধারণী আপিল শুনানির দ্বার উন্মুক্ত হলো বলে জানান আইনজীবীরা।

২৭ তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা ২০০৭ সাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাতিল করে দেয় সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে মনির হোসেনসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেন।

সে রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ ও বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৮ সালের ৩ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলে পিএসসির সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের ওই রায়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এই পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের পক্ষে মো. সোহেল রানাসহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আরেকটি রিট করেন।

পরবর্তীতে বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দিন চৌধুরী রুমী ও বিচারপতি এবি সিদ্দিকীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বরের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। সে রায়ে প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তিন মাসের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া এবং দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে নিযুক্তদের বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা তিনটি আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ জুলাই ততকালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ রায় দেন।

সে রায়ে ২৭ তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিল বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর