‘ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না’
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৬
ঢাকা: দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকেই মনে করতে শুরু করেছে পতিত ফ্যাসিবাদ বোধহয় ক্ষমতায় চলে আসছে। এই বিপ্লবে বিদেশী কোন সমর্থন ছিল না। এই বিপ্লব সম্পূর্ণভাবে আমাদেরই বিপ্লব। কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসল; না বাইডেন আসল; না কমলা হ্যারিস আসল, তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না। ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করি নাই। আমাদের ছাত্র-জনতা তাদের শক্তি দিয়ে বিপ্লব করেছে। আমরা ওয়াশিংটনকে থোরাই কেয়ার করি। ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চব্বিশের অভ্যুত্থান বইটির লেখক সাহাদত হোসেন খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) নুরুদ্দিন খান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হাসান হাফিজ।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শক্তির প্রসঙ্গ তুলে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকেই মনে করতে শুরু করেছে তারা বোধহয় ক্ষমতায় চলে আসছে। আমাদের বড় শক্তিটা কি জানেন? এই বিপ্লবের? এই বিপ্লবে বিদেশী কোন সমর্থন ছিল না। এই বিপ্লব সম্পূর্ণভাবে আমাদেরই বিপ্লব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্থ হবে পতিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে; এটা আমি বিশ্বাস করি না। এটা যদি আমি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের বিপ্লবের মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি আমরা অবমাননা করছি। তারা জীবন দিয়েছে একটি শক্তিশালি আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তুলবার জন্য তারা জীবন দিয়েছে। যে জাতি ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।’
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার প্রতি অবিচার সংক্রান্ত’ আর্টিকেলের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এই আর্টিকেলের বিষয়ে আমার আপত্তি হচ্ছে বাংলাদেশে যে অবস্থা হয়েছিল, যাদের কারণে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল সেই ক্রিমিনালদের মধ্যে একজন হচ্ছে এস কে সিনহা। সেই এস কে সিনহাকে কোনভাবে কোন বইতে তার সম্পর্কে সহানুভূতিশীল কোন কিছু লেখার কোন সুযোগ নাই। এটা যিনি লিখবেন তিনি ইতিহাস বিকৃত করছেন।
তিনি বলেন, ‘কাজেই এস কে সিনহার সঙ্গে হাসিনার যে প্রবলেম ছিল সেটা ছিল ক্ষমতার লড়াই। দুই ক্রিমিনালের ক্ষমতার লড়াইকে এক ক্রিমিনাল আরেক ক্রিমিনালকে ঘাড় ধরে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়েছে। কাজেই বাংলাদেশ থেকে যদি ক্রিমিনাল বের হয়ে যায় তাহলে সে হিরো হয়ে যায় না।’
সারাবাংলা/এনআর/এমপি