লেবাননে শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরাইলি হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জাতিসংঘ
৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৮
দক্ষিণ লেবাননে চলছে একের পর এক ইসরাইলি হামলা। এসব সরাসরি হামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন লেবাননের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) লেবাননের জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউনিফিল) জানায়, দেশটিতে আগে ঘটে যাওয়া হামলার পরে ইসরাইল আবারও রাস নকোরায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। দু’টি সামরিক খননকারী এবং একটি বুলডোজারের সাহায্যে সেখানকার কংক্রিটের কাঠামো নষ্ট করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ইউনিফিল হামলার ফুটেজ অনলাইনে প্রকাশ করলেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
ইউনিফিলের দাবি, ২০০৬ সালে হওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর করা এই হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং এতে দেশটির সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এদিকে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলেছে ইসরাইল। যাতে তারা দক্ষিণ লেবাননের স্থল আক্রমণের ক্ষেত্রে আরও স্বাধীনভাবে অগ্রসর হতে পারে।
ইউনিফিল এর ডেপুটি মুখপাত্র ক্যান্ডিস আরডিয়েল জানান, এ পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননের শান্তিরক্ষা মিশনকে ৪০ বার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আরদিয়েল জানিয়েছে, ওই হামলার মধ্যে আটটি হামলাই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর। আগের হামলায় শান্তিরক্ষীরা আহত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে দেশটির অনেক সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হামলার পরে ইউনিফিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শান্তিরক্ষীদের উপর ক্রসফায়ার হওয়ার চেয়ে বড় বিষয় হলো এটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সরাসরি হামলা।’
ইউনিফিল বিবৃতিতে সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকেই শান্তিরক্ষী এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবনে শান্তি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘বিরোধগুলো আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধান করা উচিত, সহিংসতার মাধ্যমে নয়।’
উল্লেখ্য, এর আগে লেবাননের সাইদন শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় পাঁচ ইউনিফিল শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয়ভাবে লেবানিজ রেড ক্রস সেবার মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ