কম্বল চোরের দল আওয়ামী লীগ: ডা. জাহিদ
১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪২
ময়মনসিংহ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ কম্বল চোরের দল। দেশের ১৭ লাখ কোটি টাকা লুন্ঠনকারি দল আওয়ামীলীগ। তারা পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মায়ের গর্ভের সন্তানকেও হত্যা করেছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিডটরিয়ামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি কোন ধরনের বৈষম্য বা বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এ কারণেই শহীদ জিয়া দিয়ে গেছেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। স্বাধীনতার পর যাদের দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্র রক্ষার, তারাই মাত্র ১১মিনিটে গনতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে দেশের সব সংবাদ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা মুখে বলে এক কথা, করে তার উল্টোটা।’
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকেন নি। তিনি জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিএনপি ছিল না। তখন সিপাহী জনতার ভালোবাসায় সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছিল দেশের জনগণ। এরপর মাত্র সাড়ে-চার বছরের মধ্যে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে স্বর্নিভর বাংলাদেশে রূপ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ সব ধরনের পদক প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল মেজর জিয়ার। তিনি ছিলেন আধুনিক কৃষির জনক। তার পর বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারী শিক্ষার উন্নয়ন করেছেন। যুবকদের উন্নয়ন, ৭৫ এর কালা কানুন বাতিলসহ দেশের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
ভারত প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে সমানে সমান। দুই দেশের সর্ম্পকে লাভও হবে সমান। সমান সর্ম্পক না হলে বিএনপি কোনো সর্ম্পক মেনে নেয় না। বিএনপি কোনো কিছু ভাঙ্গে না, বিএনপি গড়তে জানে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা রয়ে গেছে। তাদের কাছে আছে পর্যাপ্ত অবৈধ টাকা ও অস্ত্র। এখনো যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। দেশের মানুষ সজাগ আছে, অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে কাজ করছে। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, আছে এবং থাকবে। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শাহজাজানের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, বাকৃবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া, ভিসি প্রফেসর ড. জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবির শাহীন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ একেএম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, অ্যাডভোকেট এমএ বারী, ড্যাব নেতা ডা. ওয়ালিউল্লাহ, ডা. একেএম মুসা শাহীন, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, শিক্ষক নেতা ড.একেএম আজাদ, এসএম রফিকুল ইসলাস বাচ্চু, ডা. খায়রুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ তানভীর তান্না ও অধ্যক্ষ শেখ ইউসুফ লিটন।
এসময় জেলা-উপজেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসআর