টিকিটের নকশা বদলের ব্যাখ্যা দিলো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
১০ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১২
ঢাকা: মেট্রোরেলের একক যাত্রা এবং এমআরটি পাসের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সদ্য ইস্যু করা এই পাস নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার (১০ নভেম্বর) এই নকশা বদলের ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভেরিফাইড ফেইসবুকে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে।
সেখানে একক যাত্রার টিকেটের ক্ষেত্রে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-সিপি-৭ মোট-৩ লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার টিকেট এবং মোট-৮ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ এমআরটি পাস সরবরাহ করে। একক যাত্রার টিকেট এবং এমআরটি পাসের ডিজাইন একইরকম হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এমআরটি পাসধারী যাত্রী Exit Gate এ কার্ড টাচ করে বের হয় এবং একক যাত্রার টিকেটধারী যাত্রীকে টিকেট Exit Gate এর স্লটে প্রবেশ করাতে হয়। উভয় কার্ডের ডিজাইন একইরকম হওয়ায় একক যাত্রার টিকেটধারী যাত্রী এমআরটি পাসধারী যাত্রীকে অনুসরণ করে একক যাত্রার টিকেটধারী যাত্রী টিকেটটি Exit Gate এর স্লটে প্রবেশ না করিয়ে টাচ করায় Exit Gate এলার্ম প্রদান করে এবং সাময়িক সময়ের জন্য অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে Exit Gate এ যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
পোস্টে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে ২ লাখের ও বেশি একক যাত্রার টিকেট হারিয়ে গেছে। একক যাত্রার টিকেটধারী যাত্রী টিকেটটি স্লটে জমা না দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিজাইন একই রকম হওয়ায় Exit Gate এ কর্তব্যরত ব্যক্তি একক যাত্রার টিকেটধারীকে বাধা দিতে বিভ্রান্ত হয় এবং এতে যাত্রী হয়রানিসহ জটিলতার সৃষ্টি হয়। একক যাত্রার টিকেট এবং এমআরটি পাস এর মধ্যে পার্থক্য করার জন্যে ইতোপূর্বে ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকেটের রং পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তাতেও সুফল মেলেনি। একক যাত্রার টিকেটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন টিকেট সংগ্রহের এবং ডিজাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩০ জানুয়ারি চার লাখ টিকেট সংগ্রহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে পাঠানো হয়।
গত ২৮ জুলাই একক যাত্রার টিকেটের নতুন ডিজাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১ নভেম্বর
২০ হাজার নতুন ডিজাইনের একক যাত্রার টিকেট সরবরাহ করে। মূলত যাত্রীদের সুবিধার জন্য একক যাত্রার টিকেট এবং এমআরটি পাসধারী যাত্রীদের মধ্যকার বিভ্রান্তি দূর করা এবং যাত্রী ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করার জন্য একক যাত্রার টিকেটে পরিবর্তন আনা হয়। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া গত সরকারের আমলে শুরু হয় এবং ডিজাইন চূড়ান্ত হয় ও সরবরাহ আদেশ প্রদান করা হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রাপ্ত এমআরটি একক যাত্রার টিকেটসমূহ যাত্রীদের এবং ক্রাউড ম্যানেজমেন্টের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করি, এমআরটি একক যাত্রার টিকেটের ডিজাইন সংক্রান্ত উদ্দেশ্য মূলকভাবে ছড়ানো বিভ্রান্তির অবসান হবে বলে উল্লেখ করে ডিএমটিসিএল।
উল্লেখ্য, আগের নকশায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় সংসদ ভবন এবং জাতীয় ফুল শাপলার ছবি ছিল। নতুন নকশায় এ বিষয়গুলো বাদ দেওয়ায় এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন- ওই ছবিগুলো ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম