ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি রাজশাহী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের
১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৫
রাজশাহী: ছাত্রজনতার অংশগ্রহণ ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় রাজশাহী তালাইমারি মোড়ে ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদ সমাবেশে’ এ দাবিসহ মোট ৩টি দাবি জানান তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক ফাহিম রেজা দাবিগুলোর ঘোষণা দেন। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, ‘এক কেন্দ্রীকতা বাদ দিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এই আন্দোলনের সমস্ত অংশীদারদের রাষ্ট্র গঠনে সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে’, ‘ছাত্র জনতার মতামত না নিয়ে উপদেষ্টা নিয়োগের জবাবদিহিতা করতে হবে। কোন প্রক্রিয়ায়, কোন আধার ঘরে সচিবালয়ে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয় অবিলম্বে তা জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে’।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘উপদেষ্টায় ওরা কারা? জবাব চাই বিপ্লবীরা’, ‘উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলা, চলছে কেন অবহেলা?’, ‘দালাল কেন সরকারে?’, ‘ক্ষমতা না জনতা? জনতা…জনতা…’, ‘ঢাকা কেন্দ্রীক রাস্ট্র শাসন চলবে না…চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানো ছাত্ররা সব আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু বার বার ছাত্রদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এখন ২০২৪ এর ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর ছাত্রদের সাথে আবার প্রতারণা করা হচ্ছে। ‘
দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এই দেশ গড়তে আমাদের দায়বদ্ধতা শহিদ ভাইদের প্রতি। কোনো সরকারের প্রতি না। এছাড়া সরকার গঠনের ক্ষেত্রে একটি শহর বা একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিকতা দেখা দিয়েছে। এগুলো অতিদ্রুত বন্ধ করতে হবে।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক ও মানবাধিকারকর্মী রাশেদ রাজন বলেন, ‘৫ আগষ্ট বিপ্লবের পরে আমরা যখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে ব্যস্ত তখন একদল কুচক্রী মহল এই বাংলাদেশকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করেছে। এই বিপ্লবে ছাত্র থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা যোগদান করেছে। আপামর জনতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই বিপ্লব সফল হয়েছে। অথচ আমরা যদি উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দালালরা জায়গা পেয়েছে। ফারুকীর মতো ফ্যাসিবাদের দোসরকে উপদেষ্টা পরিষদে বসানো হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম ততদিন পর্যন্ত চলবে যতদিন আমরা স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক আপামর জনতার বাংলাদেশ গড়তে পারবো।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন রাবির সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম ও সালাউদ্দীন আম্মার প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়ক এম এ বারি, সোহাগসহ নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনজে
ছায়া সরকার দাবি প্রতিবাদ সমাবেশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন রাজশাহী