ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় সরকার
১২ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪৫
ঢাকা: বর্তমানে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে পাট ও গ্যাস আমদানি-রপতানি হয়। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি। ওই সৌজন্য বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের প্রতি ইরান সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাদৃশ্যও রয়েছে। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। ইরান বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ইরান থেকে লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে। এ সময়ে রাষ্ট্রদূত বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতে পারবে অভিমত ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ইরানের আগ্রহকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ সরকার সবসময় আন্তর্জাতিক জাহাজ পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখেই জাহাজ পরিচালনা করে থাকে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই
বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন