Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যাদের নিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তজার্তিক ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৩

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে আসছেন যারা। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন। তবে ইতোমধ্যে ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়েছেন—

চিফ অব স্টাফ: সুসি উইলস

২০২৪ নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে সিনিয়র উপদেষ্টা ছিলেন সুসি। নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্পকে সঠিক রাস্তায় রাখতে যারা সাহায্য করেছিল তাদের মধ্যে একজন সুসি।

রিপাবলিকান রাজনীতিতে তার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। রোনাল্ড রিগানের ১৯৮০ সালের সফল প্রচারণা থেকে শুরু করে ২০১০ সালে রিক স্কটকে মাত্র সাত মাসের মধ্যে ফ্লোরিডার গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত করার প্রচারের দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। ফ্লোরিডায় তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়। রিপাবলিকানদের মতে, উইলসের নেতৃত্বের দক্ষতা রয়েছে, যা তাকে হোয়াইট হাউজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা: মাইক ওয়াল্টজ

সাবেক আর্মি ন্যাশনাল গার্ড অফিসার এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ওয়াল্টজকে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হতে বলেছিলেন ট্রাম্প। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াল্টজের নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি সোমবার (১১ নভেম্বর) এপি নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওয়াল্টজ ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য। তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিজেকে একজন চীনের অন্যতম প্রধান কট্টর সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চীন-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিল প্রতিনিধি পরিষদে আনার ব্যাপারে তার ভূমিকা দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত: এলিস স্টেফানিক

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে মনোনীত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য চেয়ারম্যান এলিস স্টেফানিককে মনোনীত করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। এলিস অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, কঠোর এবং স্মার্ট আমেরিকান ফার্স্ট যোদ্ধা।’

স্টেফানিক যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য। এছাড়া, রাজনীতিতে আসার পর শুরুর দিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করতেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি ট্রাম্পের সমর্থক হয়ে ওঠেন।

স্টেফানিক প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক হাউজ আর্মড সার্ভিস কমিটি ও হাউজ পারমানেন্ট সিলেক্ট কমিটিতে কাজ করেছেন।

হোমল্যান্ড সেক্রেটারি: টম হোম্যান

সাবেক পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোম্যানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবরটি নিশ্চিত করেছেন এপি সংবাদ।

হোম্যানকে ‘সীমান্ত সম্রাট’ (বর্ডার জার) নামে অভিহিত করেন ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সাবেক আইস পরিচালক ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের কিংবদন্তি টম হোমান ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেবেন। এই ‘সীমান্ত সম্রাটের’ হাতেই দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব তুলে দিচ্ছি।”

টম হোম্যান প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইউএস ইমিগ্রেশনস অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধের উপায় হিসাবে অভিবাসী শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করার নীতির প্রবক্তা ছিলেন তিনি। তিনি ট্রাম্পের গণঅভিবাসী নির্বাসন পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রধান নেতৃত্বে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ফর পলিসি: স্টিফেন মিলার

মিলার আগেও ট্রাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন এবং ছিলেন ট্রাম্প সরকারের অভিবাসন নীতির অন্যতম কারিগর। ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনে ‘অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক প্রচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো, বড় আকারে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও কিছু দেশ থেকে প্রবেশ নিষিদ্ধের কথা বলেছেন। এইসব নীতি বাস্তবায়নে স্টিফেন মিলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে বলেছেন, ‘অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসীদের নির্বাসনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক, জাতীয় সুরক্ষা এবং সামাজিক অগ্রাধিকার পূরণ করা হবে। ২০২১ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর থেকে মিলার আমেরিকা ফার্স্ট লিগ্যালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জলবায়ু সুরক্ষা এজেন্সি: লি জেল্ডিন

জলবায়ু সুরক্ষা এজেন্সির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ট্রাম্প নিউইয়র্কের সাবেক প্রতিনিধি লি জেল্ডিনকে বেছে নিয়েছেন। জেল্ডিনের পরিবেশগত বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে তিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমর্থক।

ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘জেল্ডিন ন্যায্য এবং নিয়ন্ত্রণহীন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসার শক্তিকে তুলে ধরবে। একই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে পরিষ্কার বায়ু ও পানিসহ সর্বোচ্চ পরিবেশগত মান বজায় রাখবে।’ [সূত্র: এপি]

সারাবাংলা/এইচআই/পিটিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর