‘ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার পরেও নিত্যপণ্যের দাম কমছে না’
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৮
ঢাকা : অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাজারে এতোভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বলছে দাম কমছে না অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে। ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তারপরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) নগরীর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবস-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফের দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থায়ন’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফ ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা চলে গেলেও মানুষ মনে রাখবে। কারণ আমরা ভালো কাজ করছি। মানুষ বলবে স্যার আপনি ওখানে ছিলেন আপনি অমুক কাজ করছেন। অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেয় যে স্যার আপনি ট্যাক্সের অমুক কাজটি ভালো করেছেন। বন্ডের ট্যাক্স তুলে দেওয়ায় মানুষ আমাদের অনেক ভালো বলে। সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। এখন সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হচ্ছে। ভালো জিনিস যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই মঙ্গল।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু আবার প্রতিষ্ঠান নেই, এমন অবস্থা। ভালো প্রতিষ্ঠানের বড় অভাব। বিল্ডিং আছে কিন্তু মানুষ নেই, সেখানে স্বচ্ছতার অভাব, জবাবদিহির অভাব। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি যে, তুমি এটা দেখ।’
ভারতে ইলিশ রপ্তানিকে ইতিবাচক ব্যাখ্যা করে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে ভাই ইলিশ মাছ দিয়ে দিলেন, ফেসবুকে আপনাকে গালি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। আমার কিন্তু ফেসবুক নেই। একটা সিজনে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হয় ভারতে দিলাম মাত্র ৩ হাজার টন। অনেকে বলছে, ভারতে ইলিশ দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দিকে কেউ মুখ বাঁকা করছে না। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সভায় গেলাম, ৭ থেকে ৮ দিন ছিলাম এতগুলো সভা করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত সবাই। আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক। সভা করতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি। সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিছু শর্ত থাকে তবে শর্ত কঠিন নয়। প্রত্যেকে হাত বাড়িয়েছে।’
সারাবাংলা/জিএস/এসডব্লিউ