কমছে না জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কার্বন নিঃসরণে নতুন রেকর্ড
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১৮
বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমছে না কোনোভাবেই। কপ-২৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এ ধরনের জ্বালানি পোড়ানো রোধে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। উলটো এবার কার্বন নির্গমনে নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
আজারবাইজানে জাতিসংঘের কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কয়লা, তেল ও গ্যাস থেকে কার্বন নির্গমনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের অ্যাক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়েরে ফ্রিডলিংস্টেইনের নেতৃত্বে ১০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় করা গবেষণায় নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে। তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমবর্ধমান। তবু আমরা এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধের কোনো চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি না। সময় ফুরিয়ে আসছে। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন দ্রুত কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
এর আগে ২০২৩ সালে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কপ২৮ সম্মেলনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘ। ওই সময় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়ে একটি চুক্তি করেছিল অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। ধারণা করা হচ্ছি, চুক্তির মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি যুগের চূড়ান্ত সমাপ্তি হবে।
চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৪৩ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আর বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সীমা প্রাক-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তির মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
গত এক দশকে নবায়নযোগ্য শক্তি ও বৈদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধির হার অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু বাকুতে যখন জলবায়ু সম্মেলন হচ্ছে তখন জ্বীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর পরিমাণ শীর্ষে পৌঁছেছে।
কপ২৯ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু ফান্ড সংগ্রহে মনোনিবেশ করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর নাগরিকদের জীবনকে উন্নত করার জন্য এবং জলবায়ু বিপর্যয়ে থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের নির্গমন রোধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়।
বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের মধ্যে বড় বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কম উচ্চতার দ্বীপরাষ্ট্রগুলো। জলবায়ু সংকটের জন্য মূলত দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি। শীর্ষ সম্মেলনের ফেব্রুয়ারিতে মধ্যে নির্ধারিত দেশগুলোর নির্গমন কমানের অঙ্গীকার করা হয় এবং পরবর্তী রাউন্ডের লক্ষ্যমাত্র বাড়ানোরও আশা ব্যক্ত করা হয়।
সারাবাংলা/এইচআই/টিআর