ফ্যাসিবাদের প্রধান হোতা ভারত থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন: মির্জা ফখরুল
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:১১
ঠাকুরগাঁও: ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের যে প্রধান হোতা, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। বলতে দ্বিধা নেই— সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। নইলে জাতি হিসেবে আমরা অনেক বড় বিপদগ্রস্ত হব।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতীপাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, সহনশীল হতে হবে। ১৭ বছরের এত বড় জঞ্জাল ১৭ দিনে নিরসন সম্ভব নয়, ১৭ মাসেও সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে একটু সময় দিতে হবে। তাদের প্রধান যে দায়িত্ব, আমরা বার বার বলছি, সবগুলো সংস্কারে হাত দেওয়ার দরকার নেই। নির্বাচিত হয়ে যে সংসদ বসবে, সেই সংসদ বাকি সংস্কারগুলো করবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব মনে করছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই সরকারের মূল দায়িত্ব হবে নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা। সবাই যেন ভোট দিতে পারে, সবাই যেন অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য কাজ করা এই সরকারের প্রধান কাজ। নিরপেক্ষ লোকদের নির্বাচন কমিশনের জায়গাটাতে বসানো, বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ করা, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করা, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা— এই কাজগুলো করা (এই সরকারের প্রধান কাজ)।
গণতন্ত্রে জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার সফলভাবে রাজনীতিকে বিভক্ত করেছে। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে। কিন্তু গণতান্ত্রিক সমাজে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ঐক্য থাকবে। ঐক্যটাই মৌলিক বিষয়। এটা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিষয়, মানুষের অধিকারের বিষয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারকে সফল করা সবার দায়িত্ব। সবসময় রাজনৈতি করলে চলবে না, হৃদয় দিয়ে কাজ করতে হবে। বাজারের চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দামের যে ঊর্ধ্বগতি, সেদিকে এ সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের পরিস্কার করে নির্দেশ দেওয়া আছে— সারা দেশে প্রশাসনকে আমরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখব না, চাপ দেওয়ার চেষ্টা করব না। যদি কোনো অফিসার বলে থাকে, তাহলে এটা তার অন্যায়। আমাদের জানা দরকার কারা এসব কথা বলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতারা। এর আগে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
সারাবাংলা/এমপি/টিআর