Wednesday 13 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণআন্দোলনে আহত ১৮২ রোগীকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা প্রদান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৫

বিএসএমএমইউতে আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১৮২ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সেলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিএসএমএমইউতে আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডা. এম এ শাকুর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সব ধরণের সহায়তা ও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিএসএমএমইউর বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮২ জন আহত রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, জরুরি বিভাগে ৫৮ জন রোগী, কেবিনে ৩৩ জন রোগী, সুপার স্পেশালাইজড হাসপতালের বহির্বিভাগে ৫৭ জন, অভ্যন্তরীণ বিভাগে ২৪ জন, আইসিইউতে ১০ জন রোগী।

তিনি বলেন, আগত রোগীদের মধ্যে আঘাতের ধরণ অনুযায়ী সংখ্যা ছিল গুলিবিদ্ধ ৬৯ জন, শারীরিক আঘাত আটজন, পড়ে যাওয়া ৬ জন, ধারালো কাটা আঘাত ৭ জন, রাসায়নিক আঘাত আটজন উল্লেখযোগ্য।

ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলেও উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের নাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মঈনুজ্জামান। এদিন কেস স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির কেস রিপোর্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন ডা. মো. রাশেদুল আলম। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন পুনর্বাসন চিকিৎসার ওপর তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা জানান সবাইকে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ক্লিনিকাল প্রোগ্রাম, বিশেষজ্ঞের মতামত এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব আরোপ করে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত দর্শক ও অতিথিরা পুনর্বাসন চিকিৎসার বিষয়ে তাদের মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন। এসময় হুইলচেয়ার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আর্থিক অনুদান এবং অন্যান্য সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়, যা শারীরিক প্রতিবন্ধী রোগীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এই দিবসের মাধ্যমে শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরা এবং এর আরও উন্নতির জন্য বিভিন্ন গবেষণা ও ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। যা রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।

সারাবাংলা/এসবি/এমপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর