পাঁচ দিন পরই ব্রাজিলে উপস্থিত হবেন বিশ্ব নেতারা। শুরু হবে জি-২০ সম্মেলন। তবে তার আগেই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বাইরে পর পর দুইটি বিস্ফোরণ হয়। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। ২০ সেকেন্ডের ব্যবধানে পর পর দুইটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কালৎক্ষেপ না করে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা ভবন খালি করে দেয়। কোর্টে উপস্থিত সকলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তি কোর্টের বাইরে রাস্তায় পড়ে ছিল। তার কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটানোর যন্ত্র ছিল বলে জানা গেছে। অর্থাৎ, ওই ব্যক্তি বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় ফেডারেল ডিসট্রিক্টের লেফটন্যান্ট গভর্নর সিলিনা লিয়াও একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে ওই একজন ব্যক্তিই দুইটি বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত।’ তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা সব তথ্য খতিয়ে দেখছে। এর পিছনে আরও বড় কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। সুপ্রিম কোর্টের পার্কিংয়ে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার সামান্য আগেই দিনের অধিবেশন শেষ হয়েছে। বিচারপতিরা তার কিছুক্ষণ আগেই পার্কিং থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি গেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের উলটো দিকেই প্রেসিডেন্টের বাসভবন। তবে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের তরফে বলা হয়েছে ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট বাড়িতে ছিলেন না।
এর আগেও বেশ কয়েকবার সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালানোর চেষ্টা হয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলি একাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের অনেকেই সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থক।