Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল ৩০ নভেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৩

গণফোরাম লোগো

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল হতে যাচ্ছে।

ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশনে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলাম ব্যাতিত সকল রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের রাষ্ট্রদুতদের দাওয়াত দেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি।

কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন। কাউন্সলের সার্বিক বিষয় নিয়ে দলটির মধ্যে আলোচনা চলছে।

এই কাউন্সিলে গণফেরামের সভাপতি হচ্ছেন সাবেক এমপি গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসিন মন্টু। সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমানই থাকছেন বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

১৯৯৩ সালে গণফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলের সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন ৩০ বছর পর দলটির আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। তিনি এখন আজীবনের জন্য ইমেরিটাস সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গণফোরামের।

ড. কামাল হোসেন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। গণফোরাম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ড. কামালকে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরলে আশির দশকের শেষের দিক থেকে তার সঙ্গে কামাল হোসেনের বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে।

ওই সময়কার বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হওয়ার কারণ তুলে ধরে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন ড. কামাল। চিঠিতে নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দলীয় কোন্দল ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকে চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। বলা হয়ে থাকে, ওই চিঠির পর ড. কামাল ও শেখ হাসিনার মধ্যেকার দূরত্ব অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসে।

বিজ্ঞাপন

ওই সময় আওয়ামী লীগে টিকে থাকা ড. কামালের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। দলীয় বিভিন্ন ফোরামে তিনি ক্রমাগত তোপের মুখে পড়তে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ সালের মার্চে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যান। ওই সময় নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির চিন্তা-ভাবনা থেকে গড়ে তোলেন ‘গণতান্ত্রিক ফোরাম’। তিন দিনের কাউন্সিল শেষে ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট তার নেতৃত্বে ‘গণফোরাম’ দল আত্মপ্রকাশ করে।

নব্বই দশকের শুরুতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণফোরাম জাতীয় সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে। তবে কোনো নির্বাচনেই দলটি সুবিধা করতে পারেনি। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যখন দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে, ওই সময় ড. কামালকে সামনে রেখে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো গড়ে তোলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই জোটের ব্যানারেই বিরোধী দলগুলো ভোটে অংশ নেয়। বিএনপির মতো বড় দল সঙ্গী হলেও এবারও ভোটে সুবিধা করতে পারেনি ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জোট। ওই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ছয়টি ও গণফোরাম মাত্র দুটি আসনে জয় পায়।

ওই নির্বাচনের পরপরই ২০১৯ সালের শেষের দিকে গণফোরাম বিভক্ত হয়ে পড়ে। সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীদের একাংশ আলাদা হয়ে যায়। আরেক অংশের নেতৃত্বে তখন চলে আসেন রেজা কিবরিয়া। ড. কামাল হোসেন উদ্যোগ নিয়েও বিভক্তি দূর করতে পারেননি। প্রায় সাড়ে চার বছর পর গত ২৯ আগষ্ট দলের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে দুই অংশে বিভক্ত গণফোরাম ঐক্যবদ্ধ হয়।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/এনজে

গণফোরাম জাতীয় কাউন্সিল ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর