গর্ভকালীন ডায়াবেটিস: অসচেতনতায় ঝুঁকি বাড়ছে সন্তানেরও
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩৮
ঢাকা: দেশে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা জেসটেশনাল ডায়াবেটিস মেলিটাসে (জিডিএম) আক্রান্ত হওয়ার হার ৮ থেকে ৩৫ শতাংশ। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কেবল প্রসূতির জন্যই নয়, বরং গর্ভের সন্তানের জন্যও বয়ে আনে নানা জটিলতা। অথচ দেশের অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ পরিবারের সদস্যদের প্রায় ৭৯ শতাংশই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানেন না। ফলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে প্রসূতির পাশাপাশি অসচেতনতার কারণে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুরও।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের গ্রামে ৮ শতাংশ ও শহরে প্রায় ১৩ শতাংশ নারী জিডিএমে আক্রান্ত। অন্যদিকে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০১৭-১৮-এর উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের ৩৫ শতাংশ নারী জিডিএমে আক্রান্ত।
আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে, আক্রান্তের এই উচ্চ হার থাকলেও অন্তঃসত্ত্বা নারী নিজে, তার মা, স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের প্রায় ৭৯ শতাংশ সদস্য জিডিএম সম্পর্কে জানেন না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার বিষয়ে জানেন না ৮৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল প্রসূতিই নয়, যাদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস আছে তাদের গর্ভস্থ সন্তানের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থেকে সন্তান জন্মদানের পর সুস্থ হয়ে উঠলেও পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের অর্ধেকেরও বেশি টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেবল সচেতনতার অভাবেও নবজাতক ও শিশুরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কী?
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় প্রসূতির রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সন্তান প্রসবের পর বেশিরভাগ প্রসূতির ক্ষেত্রেই তা স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসে। একেই গর্ভকালীন বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলা হয়।
মার্কস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজমা আক্তার বলেন, কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর খালি পেটে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫ দশমিক ১ মিলিমোল এবং গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর প্রতি লিটারে ৮ দশমিক ৫ মিলোমোল পাওয়া গেলে তার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় শরীরের অতিরিক্ত চাহিদা অনুযায়ী রক্তে শর্করার হার নিয়ন্ত্রণকারী বাড়তি ইনসুলিন তৈরি করত না পারায় এই লক্ষণ দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময়ে এটি দেখা গেলেও গর্ভধারণ করার প্রথম তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে এই ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস না থাকলেও গর্ভকালীন এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন বা আইডিএফ অবশ্য গর্ভকালীন ডায়াবেটিসকে অসংক্রামক রোগ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রসূতির পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইডিএফের তথ্য বলছে, এ ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ১০০ জনের মাঝে ২৬ জন নারী গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই পরবর্তীতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারী ও গর্ভস্থ শিশুদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি কাদের?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব নারীর স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। প্রথম সন্তান প্রসবের সময় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলে এবং নবজাতকের ওজন চার কেজি বা এর বেশি হলে তাদের ঝুঁকির মাত্রাও বাড়তে পারে। পরিবার থেকে বা বংশগতভাবে কারও ডায়াবেটিস থাকলেও গর্ভকালীন সময়ে ঝুঁকি বাড়তে পারে প্রসূতিদের।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের লক্ষণ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ নেই। তবে কিছু নারীর রক্তে শর্করার হার অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে— তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া, সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি মাত্রায় প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, ঘন ঘন মুখ শুকিয়ে যাওয়া, দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া। গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেও এ রকম লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এ কারণেই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কি না, তা জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে গর্ভে শিশুর আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হতে পারে। এর ফলে সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা তৈরি হতে পারে। পলিহাইড্রামনিওস বা গর্ভের ভেতরে শিশুকে ঘিরে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড তৈরি হতে পারে। ফলে সময়ের আগেই প্রসব বেদনা শুরু হওয়া এবং প্রসবের সময় জটিলতার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও প্রিম্যাচিওর বার্থ, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে পারে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে প্রি-এক্লাম্পশিয়াও হতে পারে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রসবের পর শিশুর রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া এবং চোখ ও চামড়া হলুদাভ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমনকি মৃত সন্তান প্রসব করার ঝুঁকিও থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্তান জন্মদানের পরে চিকিৎসকের ফলোআপে না থাকা এবং ছয় সপ্তাহ পরে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলে দীর্ঘমেয়াদে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের প্রভাব পড়তে পারে। পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণেও এই ডায়াবেটিস হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী স্থায়ীভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হতে পারেন।
অধ্যাপক নাজমা আক্তার বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে গর্ভস্থ শিশু আকারে অস্বাভাবিক বড়, শিশুর জন্মগত ত্রুটি, সময়ের আগে জন্ম ও গর্ভেই মৃত্যু হতে পারে। কিছু মায়ের স্থায়ী ডায়াবেটিস হতে পারে। আবার অনেক মা ও সন্তানের ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি থাকে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে সন্তানের ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে তা বিভিন্নভাবে গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। জন্মগ্রহণের পরপরই শিশুর হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশু বড় হতে থাকলে তার স্থূলাকৃতি দেহ (অতিরিক্ত ওজন) হওয়ার বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া জন্মের পর থেকেই স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যার পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে, সেগুলোর হিসাবে গর্ভকালীন সময়ে সাত থেকে ২৫ শতাংশ প্রসূতির ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অর্থাৎ চার ভাগের এক ভাগ প্রসূতি গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করার মতো বিষয়, যারা ঢাকায় থাকে তাদের ডায়াবেটিস বেশি শনাক্ত হয়। কারণ আমরা প্রচুর রেফার্ড হওয়া রোগী পেয়ে থাকি। ঢাকার বাইরে এই সংখ্যাটা কিছুটা কম হতে পারে।’
ডা. রেজাউল বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে শনাক্ত করে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পৃথিবীতে যে সন্তান আসবে, তার জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অপরিণত বয়সে তার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। গর্ভাবস্থায় তার মায়ের ব্লাড সুগার বেশি থাকার কারণে এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এ ক্ষেত্রে যার ৬০ বছর বয়সে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তার ৪০ বছর বয়সেই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে বাংলাদেশে কী পরিমাণ শিশুর মাঝে এই রোগ শনাক্ত হচ্ছে— এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা দিয়ে নেই বলে জানালেন ডা. রেজাউল করিম কাজল। তিনি বলেন, তবে আমরা মনে করছি, আমাদের দেশে যেভাবে অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার অন্যতম কারণ অধিকাংশ মা গর্ভকালীন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন না। ফলে তাদের ডায়াবেটিস নির্ণয় হয় না। সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এ জন্য তাদের সন্তানদের অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
সচেতনতা ও স্ক্রিনিংয়ে সমাধান
সচেতনভাবে পরিকল্পিত গর্ভধারণকেই একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল।
তিনি বলেন, যাদের ওজন অনেক বেশি বা যারা দেরিতে মা হচ্ছেন বা যাদের বংশে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে, তাদের অবশ্যই গর্ভধারণে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের আগেই তার ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, সেটার স্ক্রিনিং প্রথমে করা প্রয়োজন। বেশি ওজন থাকলে কমাতে হবে। সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন খুবই জরুরি। পরিকল্পিত গর্ভধারণের পাশাপাশি এ সময়ে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে সময়মতো গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নির্ণয় হবে এবং সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণও করা সম্ভব।
ডা. কাজল আরও বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের বিষয়টি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কারণ শহরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রবণতা গ্রামের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখনো গ্রামের দিকে গর্ভবতীদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার হার অনেক কম। গর্ভকালীন যে চারবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, সেটাও তারা করেন না। উলটো অনেক স্থানে এখনো গর্ভবতীদের ঘর থেকে বেরই হতে দেওয়া হয় না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের চিকিৎসকের ফলোআপেও রাখা সম্ভব হয় না। সচেতনতার অভাব, শিক্ষার অভাবসহ সামাজিক নানা ধরনের ট্যাবুর কারণে গ্রামে এই ঝুঁকিটা শহরের তুলনায় বেশি।
এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসই কেবল না, সরকারিভাবে স্ক্রিনিং সুবিধা আরও বেশি স্থানে বেশি সময়ের জন্য সহজলভ্য করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ডা. রেজাউল করিম কাজল।
তিনি বলেন, অবশ্যই সরকারের ভূমিকা বেশি। সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের এ সংক্রান্ত কাউন্সেলিং বাড়াতে হবে। কেবল প্রসূতি নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও কাউন্সেলিংয়ের আওতায় আনা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ফলোআপের প্রবণতা বাড়ানো সম্ভব।
অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান বলেন, নতুন দম্পতিকে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার আগে জিডিএম নিয়ে সচেতন হতে হবে। পরিবারগুলোকে বোঝাতে হবে, মা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সন্তানও ঝুঁকিতে পড়ে। যাদের ডায়াবেটিস আগে ছিল, কিন্তু এখন নেই বা যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জানতে হবে— কখন নিরাপদে গর্ভধারণ করা যাবে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর