‘আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার’
১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪০
ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি, যেখানে চ্যালেঞ্জ আর জটিলতা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে ঘিরে ধরেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার, কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান হুমকি—সবই আমাদের সামনে একেকটি বড় বাধা। তবুও বাংলাদেশ বারবার দেখিয়েছে কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা মাত্র ১০০ দিন আগে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিলাম। এটি ছিল ছাত্র-জনতার একটি বিপ্লব, যা গত ১৬ বছর ধরে শাসন করা এক ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছে। এর জন্য এক হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং সাধারণ প্রতিবাদকারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার ছাত্র-জনতা। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে আসুন আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি—যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা চিরদিনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, দৃষ্টিশক্তি এবং শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং যারা এখনও জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ড. ইউনূস বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমাজ গড়ার আওয়াজ তুলেছেন তরুণরা। সামনের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার।
তিনি বলেন, এই সভ্যতা আমাদেরকে ব্যর্থ করেছে। শুধু পরিবেশের দিক দিয়েই নয়, মানুষ মুনাফার পেছনে মরিয়া হয়ে উঠাও এর জন্য দায়ী। আসুন আমরা নতুন একটি সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরোর ভিত্তিতে। যেখানে সম্পদকে কুক্ষিগত করা হবে না। সবার মাঝে সমানভাবে বণ্টন হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদেশি অতিথিদের বলব আপনারা রাস্তাগুলো ঘুরে দেখুন। বাংলাদেশের তরুণদের মনের ভাষা বুঝতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন একটি বিশ্ব গড়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। যেভাবে আমাদের তরুণরা নতুন একটি বাংলাদেশের বিষয়ে ভাবতে শিখিয়েছেন আমাদের।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ন্যায়বিচার বাক স্বাধীনতা মানবাধিকার