Sunday 17 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা সম্পন্ন, দাফন চট্টগ্রামে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮

ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডের প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ রাতে চট্টগ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

জানাজায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ কয়েকশ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ ফজলুল করিম। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মোহাম্মদ ফজলুল করিমের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

মোহাম্মদ ফজলুল করিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামীকাল ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদণ্ডি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ কবির ও মাতা সুনিয়া আরা বেগম। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লিঙ্কনস ইন থেকে বার এট ল করেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। এরপর ১৯৭০ সালে ঢাকা হাইকোর্ট এবং ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং ২০০১ সালের ১৫ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসাবে উন্নীত হন।

তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইস্যুতে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা’ বিষয়ক দিল্লিভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাডভাইজরি ফোরামের সদস্য। বিচার বিভাগীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আদালত প্রশাসন ও আদালত ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের চেয়ারম্যান এবং মধ্যস্থতা ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পরিকল্পনার সদস্য ছিলেন।

বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর