উপার্জনের সম্বল জাল, মাথা গোঁজার ঠাঁই— আগুন কেড়ে নিল সব
১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে সাগর তীরবর্তী এলাকায় জেলেপাড়ার আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ সময়ের মধ্যে আগুনে জেলেদের কয়েকটি মাছ ধরার বড় জাল, বসতঘরসহ অন্তত ৩৭টি স্থাপনা পুড়ে গেছে।
আয়-উপার্জনের মূল সম্বল সাগরে মাছ ধরার বড় জাল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলেপাড়ার অনেক বাসিন্দা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের ফিরে আসা ইউনিটের প্রতিবেদনে এসব তথ্য এসেছে।
এর আগে, শনিবার (১৬ নভেম্বর) গভীর রাতে নগরীর ইপিজেড থানার আউটার রিং রোড সংলগ্ন আকমল আলী ঘাট এলাকায় জেলেপাড়ায় আগুন লাগে।
সাগরতীরে টিনের ছাউনি দেওয়া বাঁশের ঘরে রাখা হয় জেলেদের মাছ ধরার বড় বড় জালগুলো। আকমল আলী ঘাট এলাকায় এমন সারি সারি বেশকিছু ঘর আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, জেলেদের জাল রাখার ঘরগুলোতেই প্রথমে আগুনের শিখা দেখেন স্থানীয়রা। ক্রমান্বয়ে সেটা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার তথ্য পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। খবর পেয়ে পতেঙ্গা, সিইপিজেড ও কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিটের অগ্নি নির্বাপক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের ঘোষণা দিয়ে তারা ফিরে যান।
ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ২৩টি জাল রাখার ঘর, একটি বসতঘর, চা-দোকান, ভাঙ্গারি, খোলা তেলের দোকানসহ মোট ৩৭টি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া অগ্নি নির্বাপক দলের সদস্য মো. ওবায়দুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, আগুনে ২৩টি জাল রাখার ঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। সেখানে সাগরে মাছ ধরার কয়েকটি জাল ছিল বলে জেলেরা জানিয়েছেন। আমরা যখন ঘটনাস্থলে যাই, তখন জাল রাখার ঘরগুলোতে আগুন জ্বলছিল। কী পরিমাণ জাল ছিল বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ- সেটা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ