যুক্তরাষ্ট্রে এক দশকে পোশাক রফতানি বেড়ে দেড় গুণ
১৭ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৭
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে গত ৯ বছর ধরে দেশের পোশাক রফতানি প্রায় ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এসে দেশটিতে পোশাক রফতানিতে ব্যাপক হোচট খায় বাংলাদেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। যক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড গার্মেন্টসের (ওটেক্সার) এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোশাক আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওটেক্সার তথ্যমতে, ২০১৪ সালে দেশটিতে যেখানে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি হয়েছিলো ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক দশকে দেশটিতে পোশাক রফতানি বেড়ে হয়েছে দেড় গুণ। শতাংশিক হিসাবে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ওটেক্সার তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালে পোশাক রফতানি ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, ২০১৫ সালে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, ২০১৬ সালে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, ২০১৭ সালে বিলিয়ন ডলার, ২০১৮ সালে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, ২০১৯ সালে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২০ সালে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ও ২০২২ সালে রেকর্ড ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়। তবে পরের বছর ২০২৩ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশটিতে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমছে।
ওটেক্সার তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে যেখানে এই সময়ে দেশটিতে পোশাক রফতানি হয়েছিলো ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের, সেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে।
সর্বশেষ প্রকাশিত ওটেক্সার গেল ১০ বছরেরর পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২০২৩ সালে সারা পৃথিবী থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৭৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করে। এরমধ্যে রফতানির শীর্ষে চীন দেশটিতে পোশাক রফতানি করেছে ১৬ বিলিয়ন ডলারের, দ্বিতীয় অবস্থানে ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ১৪ বিলিয়ন ডলারের। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের রফতানি ৭ বিলিয়ন ডলার।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই