ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিলেন বাইডেন
১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রেসিডেন্ট মেয়াদের শেষ সময়ে এসে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে হামলা চালার অনুমতি দিয়েছে ইউক্রেনকে। ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন বলেছিল, আমরা সর্বদা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সক্ষম করতে সাহায্য করছি। এটা অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারির আগে অথাৎ বাইডেন হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রপডাউন অথরিটি (পিডিএ) এর অধীনে ৪ বিলিয়ন ডলার এবং সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স ইনিশিয়েটিভ থেকে আরও ২ বিলিয়ন দেওয়া হবে ইউক্রেনকে।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে হামলা চালার অনুমতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে মার্কিন ও বিশ্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইউক্রেন রাশিয়ায় দূরপাল্লার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আর এ জন্য দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করতে চায়। যে বিষয়ে এতোদিন অনুমতি দেয়নি ওয়াশিংটন।
তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথগ্রহণ করবেন। তিনি ক্ষমতায় গেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় পাল্টে যেতে পারে। ট্রাম্প বরাবরই এই যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলছেন। তিনি ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন।
সূত্রগুলো বলছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রথম হামলা সম্ভবত এটিএসিএমএস রকেট দিয়ে চালানো হবে। এসব রকেট ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ বলছে, এ সিদ্ধান্ত রুশ সেনাদের ভূখণ্ড দখলের চলমান সময়টাতে ইউক্রেনকে হয়তো সহায়তা করতে পারবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হলে তা দর-কষাকষিতে কিয়েভকে ভালো অবস্থানে রাখবে।
২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর প্রথম থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে এসেছে। তবে শর্ত ছিল একটাই—এই অস্ত্র শুধু প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা যাবে। তবে সাম্প্রতিক সময় সুর পাল্টেছে জেলেনস্কির বেশিরভাগ পশ্চিমা মিত্র।
সারাবাংলা/এইচআই