বায়ু দূষণ
দিল্লিতে বন্ধ হচ্ছে স্কুল, যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ
১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৯
ভারতের দিল্লিতে ক্রমশ বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বাতাসের গুণমান আরও খারাপ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় দিল্লিতে নিয়মের কড়াকড়ি করল প্রশাসন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) থেকে দিল্লি এনসিআর- এ চালু হবে এইসব নিয়ম।
বায়ুদূষণের নিরিখে দিল্লি বরাবরই প্রথম সারিতে থাকে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বাতাসের গুণমান। আর তা নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘Graded Response Action Plan’ চালু করা হয় চরম বায়ু দূষণ থাকা এলাকায়। বর্তমানে তা পরিলক্ষিত হয়েছে দিল্লি এনসিআর- এ।
রোববার দিল্লির দৈনিক গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বিকেল ৪টার সময় ছিল ৪৪১। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দৈনিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বুলেটিনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এরপর ৭টার সময় ওই মাত্রা বেড়ে হয়েছে ৪৫৭।
সার্বিক বায়ুদূষণের মাত্রা নিরীক্ষণের পাশাপাশি আবহাওয়ার পরিস্থিতিও নজরে রাখা হচ্ছে। কারণ সময় যত এগোচ্ছে আবহাওয়ার কারণে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিল্লির নিরিখে ৪৫০- এর উপরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সেই এলাকাকে সিভিয়ার প্লাস এয়ার কোয়ালিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে সেই তালিকাভুক্ত হয়েছে দিল্লি এনসিআর। আর তাই ১৮ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে চালু হতে চলেছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।
যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে—
(১) ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে ১৮ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে। শুধুমাত্র যে সমস্ত ট্রাক প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসবে বা জরুরি পরিষেবায় পৌঁছে দেওয়ার জিনিস থাকবে সেইসব ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে। তবে সমস্ত এলএনজি/সিএনজি/ইলেকট্রিক/বিএস-ভিআই ডিজেল ট্রাককে দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
(২) দিল্লির বাইরে রেজিস্টার হওয়া হালকা বাণিজ্যিক যানবাহনগুলোকে দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। কেবলমাত্র ইলেকট্রিক যানবাহন, সিএনজি, বিএস-ভিআই ডিজেল যান দিল্লিতে ঢুকতে পারবে। তবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে আসা যানবাহন এবং যেসব যানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে।
(৩) দিল্লিতে রেজিস্টার হওয়া বিএস-ভিআই এবং তার নিচের স্তরে থাকা ডিজেল চালিত মাঝারি পণ্যবাহী যান বা মিডিয়াম পণ্যবাহী যান এবং ভারী পণ্যবাহী যান চালানোর উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। ছাড় থাকবে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিবহন করা এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া যানবাহনের ক্ষেত্রে।
(৪) এনসিআর রাজ্য সরকার ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি এবং একাদশ শ্রেণির স্কুলে গিয়ে শিক্ষা কার্যকর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে অনলাইনে চালু থাকবে ক্লাস।
(৫) এর পাশাপাশি পাবলিক, মিউনিসিপাল এবং বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বাকি কাজের ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অপশন বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচআই