Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৌয়ের শাড়ি থেকে বাড়ি সবই আর্জেন্টিনার রঙে 


১১ জুন ২০১৮ ১৮:২৪

।। শুভজিত পুততুন্ড, কলকাতা থেকে ।।

বাংলাদেশের বাজ্রিলের পতাকা রঙের বাড়ি ইতোমধ্যে বিশ্বগণমাধ্যমের প্রচারের আলোয় বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে গেছে। আর সেই ব্রাজিল বাড়ির আদলেই কলকাতায় খোঁজ মিলেছে আর্জেন্টিনার পতাকা রঙের বাড়ির। আকারে বড় না হলেও ভালোবাসায় বিশাল ভাতের পশ্চিমবঙ্গের একজন চা বিক্রেতার এই আর্জেন্টিনা সংসার।

আর্জেন্টিনা ফুটবল দল নিয়ে মাতামাতি শুধু যে আর্জেন্টিনায়-ই রয়েছে তা নয়। এই দলের ফুটবল নৈপুন্য মনে দাগ কেটেছে আর্জেন্টিনা থেকে কয়েকে শ কিলোমটার দূরের ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর নবাবগঞ্জ এলাকার শিবশঙ্কর পাত্রের পরিবারেও।

শিবশঙ্কর পাত্র পেশায় চায়ের দোকানদার হলেও নেশায় তিনি একজন অন্ধ ফুটবল ভক্ত। একটু সংক্ষেপে বললে তিনি আর্জেন্টিনা এবং সেই দলের সেরা খেলোয়াড় লিয়নেল মেসির ভক্ত। একটা সময় নিজেও ফুটবল খেলতেন, এলাকায় নাম-ডাকও ছিল যথেষ্ট। বিশ্ব ফুটবলের প্রতি ভালবাসার শুরুটা হয়েছিল অনেকটাই ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ এ আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের মেগা স্টার ফুটবলের রাজপুত্র মেরাডোনার খেলা দেখে। ওই বছর মেরাডোনার খেলা দেখে ভালবাসায় পড়ে যান, তার পর থেকে হৃদয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেয় লাটিন আমেরিকার এই দেশটির ফুটবল।

বয়সের সঙ্গে বেড়ে চলে তার আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। ২০০৯ সালে তিনি নিজের বাড়ি ও দোকানে করে ফেলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকার রঙে। এরপর থেকে বাড়ির সমস্ত কিছুই রাঙিয়ে তোলেন আর্জেন্টিনার নীল-সাদা রঙে। ঘরের দেওয়াল থেকে শুরু করে দরজা-জানালা, রান্নাঘর, আলমারি, স্ট্যান্ড ফ্যান, ঠাকুরের আসন এমনকি তার বাড়িতে থাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও রাঙিয়েছেন নীল-সাদা রঙে।

বিজ্ঞাপন

ঘরের দেওয়াল, আলমারি সব জায়গায় রয়েছে মেসির ছবি। তিনি তার এই ফুটবলের প্রতি ভালবাসায় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন স্ত্রী ও দুসন্তানকেও। আর্জেন্টিনার খেলা শুরু হলেই তারা একসঙ্গে বসে যান খেলা দেখতে।

এবার বিশ্বকাপে তার স্বপ্ন ছিল রাশিয়া যাওয়ার, অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে পেরে উঠেনি শিবশঙ্কর বাবু, তাই সামান্য জমানো টাকায় ফিকে হয়ে যাওয়া বাড়ি রাঙিয়েছেন নীল সাদা রংয়ে।

ওই এলাকার আর্জেন্টিনা প্রেমীরা শিবশঙ্কর বাবুকে সামনে রেখে গড়ে তুলেছে আর্জেন্টিনা ফ্যানক্লাব। যারা প্রতিবছর মেসির জন্মদিন পালন করে; সঙ্গে এই সংস্থার পক্ষ থেকে রক্তদান শিবির, থ্যালাসেমিয়া শিবিরসহ বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ কাজও করে থাকে।

শিবশঙ্কর বাবুর স্ত্রী স্বপ্না পাত্র বলেন, আমি বিয়ের পর এই বাড়িতে এসে দেখতাম আমার স্বামী ফুটবল খেলা হলেই দেখতো বিশেষ করে আর্জেন্টিনার খেলা হলে সব কাজ ফেলে গভীর মনোযোগে খেলা দেখতো। তখন থেকে আমিও খেলা দেখতে শুরু করি, আমিও এখন আর্জেন্টিনার ভক্ত। শুধু আমার স্বামীই নয় পরিবারের সবাই এখন আর্জেন্টিনা এবং মেসির অন্ধভক্ত। মেসি ভালো খেললে আমরা আনন্দ পাই আর খারাপ খেললে দুঃখ পাই।

স্বপ্না দেবী আরও জানান, আমরা চাই এই বছর বিশ্বকাপ যেনো আর্জেন্টিনার হয় এবং বিশ্বসেরা ফুটবলার যেনো মেসিই হয়।

সারাবাংলা/এসপি/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর