সরকারি চাকরি
বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
১৮ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫১
ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা অধ্যাদেশে সই করেছেন আইন সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। এছাড়া, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের চাকরির যেসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ রয়েছে। সর্বত্র উক্ত বয়সসীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্বস্ব নিয়োগ বিধিমালা বা ক্ষেত্র মতো প্রবিধানমালা বহাল থাকবে।
এতদিন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর ছিল। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওইদিনই চাকরি প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে।
এরপর গত ২৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। বর্তমানে সংসদ না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম