ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি— অভিবাসী উচ্ছেদে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীর ব্যবহার
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৩১
অভিবাসন নীতি কঠোর করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং অবৈধ অভিবাসীদের সমূলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দিতে প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, তার প্রশাসন মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য বলেছেন। তবে পরিকল্পনার বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। শুধু বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কার্যদিবস থেকেই অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থান নেবেন।
ট্রাম্প তার পরিকল্পনা কার্যকর করতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা, সামরিক বাহিনী এবং সহানুভূতিশীল স্থানীয় নেতৃত্বের উপর নির্ভর করতে চান। তবে বিশাল পরিসরের এই অভিযান আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে এবং ডেমোক্র্যাট নেতাদের পক্ষ থেকে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হতে পারে।
ট্রাম্পের নবনির্বাচিত প্রশাসনে অভিবাসন নীতি কঠোর করার জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে আছেন টম হোম্যান, যিনি বর্ডার সিজার হিসেবে কাজ করবেন এবং স্টিফেন মিলার, যিনি আগের প্রশাসনের বিতর্কিত অভিবাসন নীতির স্থপতি ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েমকে স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের ব্যাপক উচ্ছেদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে প্রচুর ব্যয়ভার, অবকাঠামো এবং আইনি জটিলতা মোকাবিলা করতে হবে। মার্কিন অভিবাসন কাউন্সিলের মতে, বছরে ১০ লাখ মানুষ বিতাড়নের জন্য এক দশকে ৯৬০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
অভিযোগ উঠেছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় অভিবাসীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয়নি এবং ড্রিমারদের (যারা শিশু অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন) লক্ষবস্তু বানানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, মানবাধিকার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, বৈধ অভিবাসী বা এমনকি মার্কিন নাগরিকরাও এই অভিযান থেকে রেহাই পাবে না।
অভিবাসন অধিকার কর্মী গ্রেইসা মার্টিনেজ বলেছেন, ‘ট্রাম্প ভীতি ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আমাদের সম্প্রদায়গুলোতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চান। কিন্তু তার এই পরিকল্পনার জন্য জনগণের কোনো সমর্থন নেই।’
সারাবাংলা/এনজে