‘আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না’
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৩২
ঢাকা: ‘‘আজকের পর থেকে আমাকে ‘দেশনায়ক’, ‘রাষ্ট্রনায়ক’ বলবেন না। একজন সহকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ রইল, দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে ‘দেশনায়ক’, ‘রাষ্ট্রনায়ক’ ব্যবহার করবেন না’’
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত শীর্ষক’ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স শিল্পের বাইরে নতুন কর্মমুখর সেক্টর তৈরি করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অধিকাংশ মানুষ যেন বেশি যুক্ত হতে পারে, সরকারিভাবে আমরা তা এনকারেজ করব। সবকিছু হয়তো দ্রুত পারব না। অনেকাংশে সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। রাতারাতি সব হবে না। দেশ সবার। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একটু একটু এগিয়ে আসি। আমরা প্রত্যেকে যদি চেষ্টা করি ভালো কিছু করতে সক্ষম হব।’’
সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ ও জাতি নিয়ে যে চিন্তা, যখন দেশের এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেনি, তখন বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি দল, যারা দেশ পরিচালনা করেছে। হয়তো অনেক কিছু করতে পারিনি। হয়তো অনেক কিছু করেছি। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, তাহলে যে সংস্কারই করি, কোনোটিই কাজে লাগবে না। রাজনৈতিক মুক্তি হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। যার যা ইচ্ছা করে যাবে, সেটা হবে না। সেটা সরকারি দল হোক, বিরোধীদল হোক, এমপি হোক, মন্ত্রী হোক, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বক্তব্য দেন। মতামত দেন ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম