২ মামলায় খালাস পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী
২০ নভেম্বর ২০২৪ ০০:১৫
ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মঞ্জুরুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার এক মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ড বাতিল করে আলতাফ হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আরেক আদালত। মামলাটিতে আপিল শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
আলতাফ হোসেনের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন দুই মামলায় তার খালাস পাওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতার মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিরা ২০১১ সালের ৪ জুন গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকের সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেন এবং তাদের ওপর আক্রমণ করেন। রাস্তার চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের পর গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
মামলাটির বিচার চালাকালীন আদালত ১২ সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাকে এ মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তাদের দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় তিন মাস ও দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি আলতাফ হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হতো তাকে। এরপর আলতাফের আইনজীবী খালাস চেয়ে আপিল করেন।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ-১-এর বিচারক আপিল শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির এই নেতাকে বিচারক খালাস দেন।
এদিকে দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদক জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী নিজের ও স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরীর নামে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ অর্জন-দখলে রেখে এবং সে তথ্য গোপন করে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। পরে ২০০৮ সালের ২২ জুন এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে বিচারক তাকে খালাস দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর