স্থলমাইনে নিহতের সংখ্যায় সিরিয়াকেও পেছনে ফেলেছে মিয়ানমার
২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৭
মিয়ানমারে স্থলমাইনে নিহতের সংখ্যায় যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ সিরিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে। স্থলমাইন নিষিদ্ধে করা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ২০২৪ -এর সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবদনে বলা হয়, মিয়ানমার গত বছর সিরিয়াকে পেছনে ফেলে স্থলমাইন এবং যুদ্ধের বিস্ফোরক কারণে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ নিহত বা আহত হওয়ার দেশে পরিণত হয়েছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন’ কর্তৃক প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পরে শুরু হওয়া সংঘাতে মিয়ানমার জুড়ে ব্যপক স্থলমাইন ব্যবহার হচ্ছে। দেশটির রাজধানী এবং সামরিক শক্তির কেন্দ্র ব্যতিত প্রতিটি রাজ্য এবং অঞ্চলে হতাহতের ঘটনা বেড়েই চলছে।
স্থলমাইন মনিটর ২০২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক জান্তা এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠী উভয়ই স্থলমাইন ব্যবহার করেছে।
গত বছর মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগের দুই বছর বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল সিরিয়া। গত বছরের অনুযায়ী দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিরিয়া। ইউক্রেন এবং আফগানিস্তান বিশ্বব্যাপী তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে আছে।
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সামরিক ল্যান্ডমাইনগুলো শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের আহতের ঘটনা ঘটায়েছে। সামরিক বাহিনী সৈন্যদের এগিয়ে চলার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহার করে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। গবেষণায় এমন রিপোর্টও উল্লেখ করা হয়েছে, সামরিক বাহিনী কৃষকদের হুমকি দিয়েছে তাদের গবাদি পশুর দ্বারা বিস্ফোরিত মাইনের জন্য তাদের অবশ্যই অর্থ প্রদান করতে হবে।
স্থলমাইন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী গত বছর মিয়ানমারে এক হাজার ৩ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যদিও নজরদারির অভাব ছিল। সংখ্যাটি দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণও হতে পারে।
সিরিয়ায় গত বছর স্থলমাইন এবং যুদ্ধের বিস্ফোরকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছিল (৯৩৩), এরপরে আফগানিস্তান এবং ইউক্রেনে ৫০০ জনের বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সারাবাংলা/এইচআই