আদালতকে ব্যবহার করে শ্রমিকের জীবিকা ধ্বংস না করার আহ্বান
২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৩
ঢাকা: রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ আদালতকে ব্যবহার করে শ্রমিকের জীবিকা ধ্বংস না করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদেরকে প্রতিপক্ষ বানানোর চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ এর কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ এর আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারি রিকশা চলাচলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের সর্বত্র গণপরিবহন না থাকায় প্রধান সড়ক বাদে বাকি এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও পরিবেশ বান্ধব এবং চালকের প্যাডেল চালনার কষ্ট লাঘব হওয়ায় এই পরিবহনের চাহিদা ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। প্রযুক্তি ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। দুর্ঘটনার কারণে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইককে অভিযুক্ত করা হচ্ছে কিন্তু তাদের দুর্ঘটনার কী কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল। তাই বলে কি মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা কি কোন সমাধান?’
বিবৃতিতে সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে বর্তমানে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করে। এই পরিবহন বন্ধ হলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এক ধাক্কায় বেকার হয়ে পড়বে। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে চালক ও তাদের উপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। ইতোপূর্বে মহাসড়ক ছাড়া সর্বত্র চলাচলে সুপ্রিম কোর্টের দুটি আদেশ ও আন্দোলনের মুখে গত সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের প্রধান সড়ক ও দেশের ২২ মহাসড়ক ছাড়া সর্বত্র চলাচলের ঘোষণা প্রদান করে। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের এই রায় কার্যকর কিনা তা খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনে এই রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আইনি লড়াই করার ও নীতিমালা চূড়ান্ত করার আন্দোলনের ঘোষণা করেন সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক ১৫ লাখ চালকের জীবন-জীবিকা ও তাদের উপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় অবিলম্বে হাইকোর্ট এর আদেশ পুনর্বিবেচনা করে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। একইসাথে মহানগরের প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা চলাচল না করার ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও রাস্তায় চলার নিয়ম নিয়ে প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা জরুরিভাবে করা দরকার বলে মনে করেন সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘নীতিমালা চুড়ান্ত করে ও আধুনিকায়ন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান, প্রতিটি সড়ক মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ স্বল্পগতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য পৃথক বা সার্ভিস রোড নির্মাণ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দাবি জানান।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই