Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙে পুনর্গঠন দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট
২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪০

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙে পুনর্গঠন দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রাঙ্গামাটি: ‘ফ্যাসিস্ট শাসনমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চাই’ স্লোগানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙে পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙ্গামাটির কুতুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের’ ব্যানারে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হলেও এটি ছিল মূলত পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিফিএফ) কর্মসূচি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়কের কুতুকছড়ি বড় মহাপুরম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নতুন জয় কারবারির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা, অর্থ সম্পাদক হরি কুমার কারবারি ও যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কারবারিসহ অন্যরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার থেকে শুরু করে দেশের অনেক কিছু সংস্কার হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদেরও সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি দেখি, ১৯৯৯ সালে হাসিনার আমলে আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়, সেই হাসিনা আমলের সন্তু বাবুরা এত বছর ধরে অবৈধভাবে নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় রয়েছেন।

বক্তারা সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারে কাছে দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সই হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন হয়। এরপর বিগত সরকারগুলোর আমলে জেলা পরিষদগুলো অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পুনর্গঠন করা হলেও আঞ্চলিক পরিষদ আর পুনর্গঠন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পর ১৯৯৮ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ভেঙে আত্মপ্রকাশ করে পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনটির নেতৃত্বে আসেন জনসংহতি সমিতির তৎকালীন সহযোগী ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা।

বর্তমানে প্রসিত খীসাও একটানা ইউপিডিএফের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৯৭ সালে সন্তু লারমার রাজনৈতিক দল জেএসএসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পর এবার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে ইউপিডিএফ।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

ইউপিফিএফ বিক্ষোভ সমাবেশ রাঙ্গামাটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর