মিরপুর-মহাখালীতে সেনাবাহিনীর ধাওয়া, ইট ছুড়লেন রিকশাচালকরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১২ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩
ঢাকা: সকাল থেকে রাজধানীর সড়ক ও রেলপথ আটকে অবরোধ করতে থাকা ব্যাটারিচালিত রিকাশাচালকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। মহাখালী ও মিরপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়েছেন। জবাবে রিকশাচালকরাও পালটা ইট-পাটকেল ছুড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মিরপুর ও মহাখালী এলাকায় রিকশাচালকদের ধাওয়া দেন।
মহাখালীতে সকাল থেকে সড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করেছিলেন রিকশাচালকরা। এর জের ধরে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুরের দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।

অবরোধ করতে থাকা ব্যাটারিচালিত রিকাশাচালকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী
এ নিয়ে মহাখালী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছত্রভঙ্গ রিকশাচালকরা মহাখালী রেলগেটের পাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন রিকশাচালকরা। দুপুরের দিকে তাদের ধাওয়া দেয় সেনাবাহিনী। এতে রিকশাচালকরা প্রধান সড়ক থেকে সরে গিয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের এ বিক্ষোভের নেপথ্যে রয়েছে হাইকোর্টের মঙ্গলবারের একটি আদেশ। ওই দিন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন।
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট। ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে আদালত একে পুরোপুরি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন।
হাইকোর্টের এ আদেশের পরদিন গতকাল বুধবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানেও আন্দোলন করেন তারা। এর মধ্যে দয়াগঞ্জ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামেন ব্যাটারিচালিক রিকশাচালকরা। কল্যাণপুর, গাবতলী, আগারগাঁও, টেকনিক্যাল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় রিকশাচালকদের এ বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকা কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর