জ্বালানি তেলের দাম কমাতে কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ সিপিডির
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০০ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৪
ঢাকা: মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার এবং বাজারভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্য নির্ধারণ হলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাজারভিত্তিক জ্বালানির মূল্য: সরকারের নেতৃত্বে উদ্যোগ এবং সম্ভাব্য সংশোধন’ শীর্ষক এক সংলাপে এমন অভিমত জানিয়েছে গবেষণা সংস্থাটি।
সংলাপে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ প্রণয়নের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষণা সহযোগী হেলেন মাশিয়াত প্রিয়তী ও প্রোগ্রাম সহযোগী ফয়সাল কাইয়ুম।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাজারভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্য নির্ধারণ হলে জ্বালানি তেলের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমানো সম্ভব। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কোন মডেল বা কোন আইনে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে, তা স্পষ্ট নয়। দাম নিয়ে ভোক্তারাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ২০১৫ সাল থেকে বিপিসি কোনো ভর্তুকি পায় না, কেননা তারা মুনাফা করে। জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে ক্ষতি সমন্বয় করে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব, কর্তৃত্ব বা মূল্য নির্ধারণ মডেল তৈরি করার আইনি কাঠামো দেওয়ার প্রস্তাব করে সিপিডি বলেছে, বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে ভোক্তার মতামত নেবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দাম নির্ধারণ নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করতে চাইলে গ্রাহকের স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। জ্বালানি তেলের দাম গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্য বাড়লে পরে তা সমন্বয় করা যেতে পারে।
ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সব খাতে সংস্কার চলছে। জ্বালানি খাতেও এর হাওয়া লাগছে। ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনা করে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করার সুযোগ রয়েছে। বিপিসির ভর্তুকির প্রয়োজন পড়ে না, কারণ তারা বড় মুনাফা করে। এই মুনাফা সমন্বয় করলে ভোক্তাস্বার্থ প্রাধান্য পাবে, এ ছাড়া ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বিদ্যুতে।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএস/ইআ