৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৪
ঢাকা: প্রায় ছয় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ঢাকামুখী ট্রেনগুলোও আসতে শুরু করেছে। জানা যায়, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করায় যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল নয়টা থেকে রিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ শুরু করে।
পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে রিকশা চালকদের সরিয়ে দিলে বিকাল চারটার পর থেকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বিলম্বে থাকা জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমে ছেড়ে যায়। এছাড়া বিলম্ব রয়েছে একতা, কিশোরগঞ্জ, জয়ন্তীকা ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস।’
এর আগে সকালে তিনি জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা রেললাইনের ওপর অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল ১০টার পরে কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসেওনি। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছিলো।
দুপুর ২টার পর থেকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছালে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে পৌঁনে ৩টার দিকে মহাখালী এলাকায় প্রায় ১০০’র মতো আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ছিলেন। পরে তাদেরকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে রাস্তা থেকে সরে যায় আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। পরে বিকেল ৩টা থেকে মহাখালীর সব রাস্তায় যানচলাচল শুরু হয়।
এর আগে ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন
বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা।
গত ১৮ নভেম্বর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মহাখালী রেল ক্রসিং এলাকায় ঢাকামুখী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৬টি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নারী শিশুসহ অনেক আহত হোন।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই