চার দশকে ৪৫ লাখ মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা দিয়েছে ‘অরবিস’
২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আন্তর্জাতিক সংস্থা উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল ‘অরবিস’ চার দশকে বাংলাদেশে ৭৮ লাখের বেশি চক্ষু পরীক্ষা করেছে। ৪৫ লাখের বেশি মানুষকে সরাসরি চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুও আছে। এছাড়া আড়াই লাখের বেশি মানুষকে চক্ষু সার্জারিতে সহায়তা দিয়েছে। ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে চক্ষু চিকিৎসার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থানরত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী পরিচালক (গ্লোবাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং) জেনা মন্টগোমারি।
সংবাদ সম্মেলনে জেনা মন্টগোমারি জানান, অরবিস বাংলাদেশের ৪০০টি কমিউনিটি ক্লিনিককে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রিম্যাচিউর শিশুদের রেটিনোপ্যাথি নির্ণয় ও ব্যবস্থাপনার জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করতে অংশীদার হয়েছে অরবিস। এ রোগটি শিশুদের অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ।
২০০০ সালে অরবিস বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী প্রোগ্রাম চালু করে এবং স্থানীয় চক্ষু হাসপাতাল ও এনজিওদের সাথে মিলে চক্ষু রোগ প্রতিরোধ ও দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে, যা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায় এবং সিলেটের নারী চা শ্রমিকদের মধ্যেও পৌঁছে গেছে।
চিকিৎসা সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে গত ১৪ নভেম্বর বেলা ১২টার ২০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে‘অরবিস’। ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয় প্রশিক্ষণ, যা চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসক ও চক্ষুখাতের অন্যান্য পেশাজীবীরা অরবিসের ক্লিনিক্যাল স্টাফ এবং স্বেচ্ছাসেবক ফ্যাকাল্টিদের কাছ থেকে অস্ত্রোপচার, রোগীদের যত্ন ও সিমুলেশন প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এছাড়া চক্ষু সংক্রান্ত একাধিক কর্মশালাও ইতোমধ্যে হয়েছে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাসপাতালের পাশাপাশি অরবিসের পার্টনার হাসপাতাল- চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে (সিইআইটিসি) এ কার্যক্রম চলছে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা, যেটি বিশ্বের দুইশর বেশি দেশ ও অঞ্চলে দৃষ্টি-সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ‘অরবিস’র প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হয়েছিল ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষটি ২০১৭ সালে। বাংলাদেশে এগারোবার এবং চট্টগ্রামে এ নিয়ে চতুর্থবার এসেছে উড়োজাহাজে স্থাপন করা উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালটি।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর