আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান হবে যেভাবে
২১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪
ঢাকা: ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরিকল্পনার আওতায় সকল কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর রাজধানীর বিএসএল ভবনের সামনে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনের রোডম্যাপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ধাপে ধাপে বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয়ে উল্লেখ করা হয় এই সময়। প্রথমেই জানানো হয় শহিদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন ও শ্রেণিকরণ কার্যক্রমের বিষয়ে।
তালিকা প্রণয়ন ও শ্রেণিকরণ বিষয়ে পরিকল্পনা
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে চলমান কাজের গতি বৃদ্ধি করে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতিদ্রুত নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আহতদের আঘাতের ও ক্ষতির গুরুত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে তালিকা প্রণয়ন ও শ্রেণিকরণ করার কাজ চলমান আছে এবং এই প্রক্রিয়া আরও সহজ ও গতিশীল করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
পরবর্তী ধাপে আহতদের মধ্যে যাচাইকৃতদের অতিদ্রুত ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে সকল আহতদের ইউনিক আইডি কার্ড প্রদান করা হবে জানানো হয়েছে।
চিকিৎসা পরিকল্পনা
শহিদ ও আহতদের তালিকা প্রণয়ন ও শ্রেণিকরণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা প্রক্রিয়া বিষয়েও পরিকল্পনা জানিয়েছে সরকার।
এই পরিকল্পনার আওতায় সকল সরকারি হাসপাতালে আইডি কার্ডধারী আহত যোদ্ধাগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। এই ইউনিক আইডি কার্ডধারীদের সরকারি হাসপাতালে আজীবন সকল ধরনের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
এছাড়া সরকারি হাসপাতালে যেসকল চিকিৎসাসেবা পাওয়া যাচ্ছে না বা যাবে না, সেগুলোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট চুক্তিভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেসকল সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে এর মূল্য পরিশোধ করবে সরকার।
এর পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা পরিকল্পনা করছে সরকার যেখানে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। রাজধানীর বিএসএমএমইউ হাসপাতালের (পিজি হাসপাতাল) কেবিন ব্লক এবং সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের আউটডোর মিলে এধরনের চিকিৎসাসেবা প্রদানের একটি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, যেটি গণমাধ্যমে অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে আহতদের দ্বারা ব্যবহার বাড়ানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও এই হাসপাতালটি ওয়ান পয়েন্ট সার্ভিস হিসেবে কাজ করবে, যেখানে আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগসমূহ আছে। প্রয়োজনে দেশের সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ এমনকি বিদেশে থাকা বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ বা বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা বা পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আহতদের পরিবার বা রোগীর এ্যাটেনডেন্টদের থাকার জন্য শাহবাগে একটি আবাসন ব্যবস্থা ভাড়া করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি বিএসএমএমইউ হাসপাতাল (পিজি হাসপাতাল) এর ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আহতদের ফিজিওথেরাপি সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি এখানে সম্ভব না হয় তবে অন্য কোন বিশেষায়িত হাসপাতালে রোবটিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ফিজিওথেরাপি সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এছাড়াও উল্লিখিত ব্যবস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগীয় সদরের মেডিকাল কলেজগুলোকে এবং বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকেও (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট) একই নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে যেন দূরবর্তী রোগীদের ভর্তিসহ অন্যান্য সেবাপ্রাপ্তি সংক্রান্ত ভোগান্তি কমে যায়।
এর পাশাপাশি যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের জন্যে গানশট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে যদি এখনো কোন স্বীকৃত উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থাকে, তবে সেধরনের বিশেষজ্ঞদের এদেশে এনে অথবা রোগীকে বিদেশে প্রেরণ করে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকার যেসকল হাসপাতালে বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের। চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে, সেসকল হাসপাতালের ডেডিকেটেড বেড সংখ্যা এবং তার কতটিতে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে তা ড্যাশবোর্ডে দেখা যাবে। পর্যায়ক্রমে এই ব্যবস্থাটি সারাদেশের হাসপাতালে সম্প্রসারণ করা হবে।
আহতদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ পরিকল্পনা
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
এই পরিকল্পনার আওতায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সরাসরি মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং এবং সাইকোথেরাপি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এ একটি কেন্দ্রীয় পরিচালনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সারাদেশে সকল আহত যোদ্ধাদের টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে প্রাথমিক মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সামনাসামনি সাইকোথেরাপির জন্যে ৮টি বিভাগীয় সদরের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় দক্ষ পেশাজীবীদের মাধ্যমে সেবাদান শুরু করা হবে।
এছাড়া বর্তমানে একটি ফোন নম্বরে আহতদের জন্য সহায়তা সেবা চালু আছে, তার সাথে সম্ভাব্য স্বল্পত সময়ে টেলিমেডিসিনসেবাও যুক্ত করা হবে। এই নম্বর থেকে তালিকাভুক্ত সকলের সঙ্গে যোগাযোগ। রক্ষা করা হবে এবং তাদের মতামত বা অভিযোগ গ্রহণ করা হবে এবং তদনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা দেয়া হবে।
এছাড়াও একটি ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিহত, আহত বা তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
চিকিৎসার পাশাপাশি আহতদের বিদেশে প্রেরণ
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের বিদেশে পাঠানোর বিষয়েও আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে যাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা প্রয়োজন, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসমূহের বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক বিদেশে প্রেরণের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় অবগত করা হয়।
অতঃপর উক্ত সুপারিশ পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে জুলাই ফাউন্ডেশন কর্তৃক গঠিত রিভিউ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বিদেশে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তারপর সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা চলমান আছে এবং ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা
শুধুমাত্র ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থাই নয়, নিহতদের পক্ষ থেকে সরকার আইনি লড়াইও শুরু করেছে। একইভাবে আহতদের পক্ষ থেকেও সরকার বাদী হয়ে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি নিহত এবং আহতদের চিকিৎসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবহেলা ও গাফিলতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ সকল সেবাদানকারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থ সহায়তা
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের অর্থ সহায়তার বিষয়েও আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
এই লক্ষ্যে শ্রেণিকরণের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সর্বোচ্চসীমা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আহতদের ইতোমধ্যে গৃহীত চিকিৎসার জন্যে ব্যয়িত অর্থ স্বীকৃত নিয়ম অনুসরণ করে যথাযথ ডকুমেন্টেশনের ‘গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ এর কাছে জমা দেয়া হলে তারা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত করবেন। তাদের ইতিবাচক মতামতরে ভিত্তিতে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।
পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান বিষয়েও বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সরকার।
পরিকল্পনাগুলো হলো-
১. এই পরিকল্পনার আওতায় গুরুতর আহত রোগীদের হাসপাতালে রেখে শারীরিক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি সেবাদান করা হচ্ছে। সেবাদানের মানোন্নয়নের লক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং আশা করা যায় অতিদ্রুত আহতদের ফিজিওথেরাপি সেবা প্রাপ্তি সংক্রান্ত কষ্ট লাঘব হয়ে যাবে।
২. জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কার্যক্রম চলমান আছে।
৩.. পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে শহীদ যোদ্ধার পরিবারের নিকটতম কোন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরে প্রয়োজনীয় বিভিন্নধরনের অর্থনৈতিক বা সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে। শহীদ যোদ্ধার পরিবারের নিকটতম কোন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
৪. আহতদের মধ্যে যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্ধত্ব বরন করেছেন বা আংশিক দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তাদের নিজস্ব পছন্দ, আগ্রহ, সামর্থ্য ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. আহতদের মধ্যে যারা পঙ্গুত্ব বা অন্ধত্বের কারণে একেবারে কোনভাবেই কোন কাজ করতে পারবেন না, তাদের আজীবন ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের একজন কর্মক্ষম। সদস্যকে পুনর্বাসনের উদ্দেশে আহত যোদ্ধাকে সহায়তার শর্তে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক বা। সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গঠন করার লক্ষে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
৬. আহতদের সরকারী সকল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হবে। এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথেও সরকারের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তাদের বিনামূল্যে শিক্ষালাভের ব্যবস্থা করা হবে।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও তাদের জন্য নেওয়া উপরোল্লিখিত উদ্যোগসমূহে আহতদের প্রতিনিধি যুক্ত করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত। ও সমন্বয়ের ভিত্তিতে হাসপাতাল ভিত্তিক সেল গঠন করার পরিকল্পনার বিষয়েও জানিয়েছে সরকার।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মাঝেই এই রূপরেখা অনুযায়ী সকল কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
এ সময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলামসহ (অতিরিক্ত সচিব) অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/এসআর
আহতদের চিকিৎসা কর্মসংস্থান ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরিকল্পনা ঘোষণা পুনর্বাসন