পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪১
২২ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৪
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া মুসল্লিদের বহনকারী একটি গাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ৬ জন নারীসহ অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এ হামলা হয়। তবে এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেননি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই প্রদেশের কুররামে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলিম ও সংখ্যালঘু শিয়াদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এই সংঘর্ষ কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকার পরে এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আজমত আলী জানান, একটি গাড়িবহরে করে পারাচিনার শহর থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে যাওয়ার পথে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ জানান, এই ঘটনায় প্রায় ১০ জন হামলাকারী জড়িত ছিল যারা রাস্তার দুপাশ থেকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল। পুলিশ হামলাকারীদের খোঁজার সময় গাড়িতে থাকা নারী ও শিশুরা আশেপাশের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।
জানা যায়, পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে কনভয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ যাত্রীই শিয়া ছিলেন। এ বছর সুন্নি ও শিয়া মুসলিম উপজাতির মধ্যে বারবার সংঘর্ষ হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতাগুলোর বেশিরভাগই এই অঞ্চলের জমি বিরোধের সঙ্গে যুক্ত।
৩৫ বছর বয়সী মীর হুসেইন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি চারজন বন্দুকধারীকে একটি গাড়ি থেকে বের হয়ে বাস ও গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখেছেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গুলি চলে। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘এই নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার পেছনে যারা দায়ী তারা ছাড় পাবে না।’
উল্লেখ্য,পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কুররামসহ বেশ কয়েকটি আফগান প্রদেশের সীমান্ত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মতো শিয়া-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীর আবাসস্থল।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ