ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে পুতিনের কঠোর জবাব
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১০:২৫
সম্প্রতি ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর আগে রাশিয়ার ভূখন্ডে ইউক্রেনের আমেরিকান ও ব্রিটিশ অস্ত্র হামলার জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ায় হামলা চালানোর প্রচেষ্টায় জড়িত দেশগুলোকে সতর্ক করেন এবং ইউক্রেনে কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে সে সম্পর্কে জানান।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশ্যে টিভিতে প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘যেসব দেশ ইউক্রেনকে রাশিয়ায় তাদের অস্ত্র হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে। সেসব দেশেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে মস্কো।’
রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় মধ্যবর্তী-পাল্লার একটি নতুন ধরণের হাইপারসনিক মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যা ‘ওরেশনিক’ নামে পরিচিত।
ইউক্রেনের মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স স্থলগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানান পুতিন।
তিনি বলেন, ‘এই হামলার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সর্বাধুনিক মধ্যবর্তী-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষাও সম্পন্ন হলো। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অ-পারমাণবিক হাইপারসনিক সংস্করণ।’
ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থাপনাগুলোতে যেসব দেশ তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেবে, সেইসব দেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আমাদের অস্ত্র দিয়ে হামলার অধিকার আমাদের আছে। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত। কেউ তা নিয়ে সন্দেহ করলে সেটি করা তাদের উচিত হবে না। পাল্টা একটি জবাব সবসময়ই থাকবে।’
সেক্ষেত্রে রাশিয়া হামলা চালানোর আগেই সতর্কবার্তা দেবে যাতে দেশগুলো তাদের নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পুতিন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলকে লক্ষ্য করে গত দুইদিনে যুক্তরাষ্ট্রের এবং যুক্তরাজ্যের দূরপাল্লার মিসাইল ছুড়েছে ইউক্রেন। এই হামলার পরপরই ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ল মস্কো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অনুমোদনের পর, ইউক্রেন ১৯ নভেম্বর মার্কিন-নির্মিত ছয়টি এটিএসিএমএস এবং ২১ শে নভেম্বর ব্রিটিশ স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালায়।
বৈশ্বিক এই সংঘাত সৃষ্টির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন পুতিন।
ভাষণে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের একটি আঞ্চলিক সংঘাতকে পশ্চিমা বিশ্ব উস্কে দিয়েছে যা এখন একটি বৈশ্বিক যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ