সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এর জবাবে নেতানিয়াহু দাবি তুলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি পক্ষপাতদুষ্ট বিচারকরা নিয়েছেন যারা একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র বিরোধী এবং ইহুদি বিরোধী মনোভাবে অনুপ্রাণিত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নেতানিয়াহু তার কার্যালয় থেকে একটি দীর্ঘ লিখিত বিবৃতি দেন যাতে প্রথম লাইনেই আইসিসিকে ইহুদি-বিরোধী বলে উল্লেখ করেন এবং ইসরাইল তার ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধে লড়ছে বলে দাবি করেন।
পরে আরেকটি ভিডিও বিবৃতিতে, এই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এই দিনটিকে একটি ‘কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং ইসরাইলের অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ইসরাইল অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের কয়েক হাজার টন খাদ্য সরবরাহ করেছে।
অভিযোগকারী আইসিসির কৌঁসুলি করিম খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত, ইসরাইল রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর একটি দুর্বৃত্ত প্রসিকিউটরের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। যিনি নিজেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’
এদিকে, নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজনৈতিক মহলের রাজনীতিবিদরা।
আইসিসির এই গ্রেফতারি পরওয়ানার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নেতানিয়াহুর পদক্ষেপকে ‘সেমিটিক বিরোধী’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাইডেন বলেন, ‘আমাকে আরও একবার স্পষ্ট করে এটা বোঝান যে, আইসিসি কেন ইসরাইল এবং হামাস যে সমতুল্য নয়, এই বিষয়টি বোঝায় না? আমরা সবসময় ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়াবো।’