হোমিওপ্যাথিক কলেজ, নাকি ঋত্বিকের পরিবার— জমির মালিক কে?
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০১
রাজশাহী: বছর দুয়েক পরেই প্রতিষ্ঠার ছয় দশকে পা রাখতে রাখতে যাচ্ছে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। দীর্ঘ ছয় দশকেও চাহিদা অনুযায়ী এর পরিপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি হয়নি। কলেজ ও হাসপাতালের জন্য পূর্ণাঙ্গ একটি ভবনের পরিকল্পনা থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরেই আটকে আছে সেই কার্যক্রম।
রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজের এই সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের নাম। সংস্কৃতি কর্মীরা বলছেন, ওই জায়গাটি ঋত্বিক ঘটকের মায়ের। ষাটের দশকে জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে হোমিওপ্যাথিক কলেজকে দেওয়া হয়েছিল। কলেজ গড়ে ওঠার পর্রও জায়গাটির দক্ষিণের কিছু অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরনো কিছু ঘর অক্ষত ছিল, যা ৫ আগস্টের পর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন জায়গাটি নিয়ে মুখোমুখি সংস্কৃতি কর্মীরা ও হোমিওপ্যাথিক কলেজ কর্তৃপক্ষ। সংস্কৃতি কর্মীদের দাবি, এখন যে অংশটিতে কলেজ রয়েছে সেটি অক্ষত রেখে দক্ষিণ অংশে ‘ঋত্বিক কমপ্লেক্স’ গড়ে তোলা হোক। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ এখন পূর্ণোদ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পুরো জায়গাটিই কাজে লাগাতে চায়।
ইতিহাস বলছে, ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকার ঋষিকেশ দাশ লেনের বাসায় জন্মগ্রহণ করেন ঋত্বিক কুমার ঘটক। পাবনার বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা গ্রামে তাদের মূল বাড়ি। বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হলেও কবিতা ও নাটক লিখতেন। মা ইন্দুবালা দেবী। মা-বাবার একাদশ ও কনিষ্ঠ সন্তান ঋত্বিকের শিক্ষাজীবন শুরু ময়মনসিংহে। পরে রাজশাহী কলেজ থেকে তিনি আইএ পাস করেন। রাজশাহীতে অবস্থানকালে তিনি থাকতেন বর্তমানে হোমিওপ্যাথিক কলেজটি যেখানে অবস্থিত, সেখানে মা তথা নানার বাড়িতে। এর মধ্যে ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হলে সপরিবারে কলকাতায় গিয়ে স্থায়ী হন তারা।
এদিকে ১৯৬৬ সালে প্রথম ওই জমিটি রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজের নামে বরাদ্দ করা হয়। ১৯৮৫ সালে ওই সময়কার রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জমিটিকে স্থায়ীভাবে কলেজের নামে দিয়ে দেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ১৯৮৫ সালের ২ নভেম্বরের ৩(৮)গোপ/৮৫-৯৬২ নম্বর স্মারক অনুযায়ী তখনকার ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয় ওই বছরের ১৮ নভেম্বর ৫-১৫১/৮৫/১১৪০/১ স্মারকে জমিটি কলেজের নামে হস্তান্তর করে। বর্তমানে জমিটি ‘মৌজা-রামপুর-১০, খতিয়ান নং-১২৭, দাগ নম্বর ১৭৮’ ঠিকানায় রয়েছে। হোমিওপ্যাথিক কলেজের নামে এর নামজারিও করা আছে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে নিয়মিত খাজনা ও হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে আসছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সংস্কৃতি কর্মীরা বলছেন, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরনো বাড়ির ঘরগুলো অক্ষত ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের ‘ইন্ধনে’ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরের দুদিনে সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, কিছু সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বাড়িটি ভেঙে ফেলেন। জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে এ নিয়ে নানা কথাবার্তার মধ্যে জায়গাটির দক্ষিণের অংশে ঋত্বিক ঘটকের নামে কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঋত্বিক পরিবারকেও ‘ভূমিদস্যু’ হিসেবে অভিহিত করার অভিযোগ রয়েছে।
সংস্কৃতি কর্মীদের ভাষ্য, ঋত্বিক ঘটকের পরিবারের ভিটায় থেকে তাকেই ‘ভূমিদস্যু’ বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ। জমিটি দ্রুত অবমুক্ত করে ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈতৃক ভিটার আবহকে কেন্দ্র করে ‘ঋত্বিক কমপ্লেক্স’ ভবন নির্মাণের দাবি তাদের। সেখানে ‘ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র কেন্দ্র’, ‘ঋত্বিক ফিল্ম ইন্সটিটিউট’, ‘ঋত্বিক সংগ্রহশালা’ বা ‘সাংস্কৃতিক জাদুঘর’, স্টুডিও, সেমিনার হল, সিনেপ্লেক্স, এক্সিবিশন গ্যালারি, বিভিন্ন ধরনের ল্যাব ও গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে চান তারা।
তবে এই পরিকল্পনার সাত-পাঁচ কোথাওই নেই কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারা কেবল তাদের ভবনের একটি মিলনায়তন ঋত্বিক ঘটকের নাম বসাতে চেয়েছে। আবার ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে রাজশাহীর সম্পর্কের সূতো অত্যন্ত ক্ষীণ— এমন বক্তব্যও আসছে নানা তরফে।
হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঋত্বিক কুমার ঘটকের মা ব্রিটিশ আমলে জায়গাটি কিনেছিলেন। এটি ছিল মূলত উনার নানার বাড়ি। তার শিশুকাল কেটেছে ময়মনসিংহে। নবম-দশম শ্রেণিতে তার বাবা অবসর নিলে তারা রাজশাহী চলে আসেন। ঋত্বিক রাজশাহী কলেজ থেকে আইএ পাস করেন, তবে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে পড়লেও ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন কলকতার একটি স্কুল থেকে। আইএ পাস করার পর তিনি স্থায়ীভাবে কলকাতায় চলে যান। আর কোনোদিন রাজশাহী আসেননি। রাজশাহীর জন্য তার কোনো অবদান নেই।’
ওই বাড়ি ও জমির ইতিহাস তুলে ধরে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘ঋত্বিক ঘটকের মামা পঁচা কবিরাজ বাড়িটি দেখাশোনা করতেন। কবিরাজিতে সেরা ছিলেন সেই আমলে। ১৯৬৫ সালে তাদের এই বাড়ি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করে পাকিস্তান সরকার। ১৯৬৬ সালে এই জমিটি রেকর্ড হয় হোমিও কলেজের নামে। তারপর এখানে হোমিও কলেজ হয়। ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ স্থায়ীভাবে হোমিও কলেজকে দিয়ে দেন জমিটি।’
রাজশাহীর সঙ্গে ঋত্বিক ঘটকের যোগসূত্র না থাকার কথা তুলে ধরে এই গবেষক বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর ঋত্বিক ঘটক বাংলাদেশে এসেছিলেন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার শুটিং করতে। সে সময় তিনি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়েছিলেন, কুমিল্লা গিয়েছিলেন, কিন্তু রাজশাহীতে আসেননি। রাজশাহী নিয়ে তার কোনো অনুভূতির কথা জানা যায় না। তাকে নিয়েও এখানে তেমন একটা আলোচনা এ শতাব্দীর শুরু থেকেও ছিল না। যা ঘটছে সব ইদানীংকার।’
রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলমও বললেন একই কথা। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ১০০ টাকায় হোমিওপ্যাথিক কলেজকে জায়গাটি দিয়েছেন। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে তারা পরিকল্পনা পাস করিয়েছেন। এর অর্ধেক কাজ হয়েছে। এখনো পুরো কাজ হয়নি। পুরো ভবন না নির্মাণ হলে মেডিকেল কলেজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে না।’
মুস্তাফিজুর আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার আগেই এই জমি অর্পিত সম্পত্তি হয়ে গেছে। এখন জমি কলেজ কর্তৃপক্ষেরই, অন্য কারও না। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি সংরক্ষণ করবে বলে জানিয়েছে। তারা মিলনায়তনের নাম রাখবে তার নামে। নিচতলায় ম্যুরাল নির্মাণ করবে। এর বাইরেও তাদের বেশকিছু পরিকল্পনা আছে।’
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন ডা. আ ফ ম জাহিদ। এরপর প্রতিষ্ঠানটি থেকে বের হয়ে যান তিনি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ঋত্বিক ঘটকের নাম করে কলেজের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ একাধিক মহলের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. আ ফ ম জাহিদ বলেন, ‘খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে মাসে আটটি করে অ্যানাটমির ক্লাস নিতাম। ব্যস্ততার কারণে আমি ২০০৮ সালে অব্যাহতি নিয়ে নিই। রাজশাহীতে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির ধারা এগিয়ে নিতে ঋত্বিক কুমার ঘটকের নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। এরপর থেকে প্রতিবছর ঋত্বিক কুমার ঘটককে স্মরণ করা হয়। তবে আমি এই সংগঠনের সঙ্গেও নেই প্রায় আট মাস হলো। নানা ব্যস্ততার কারণে আমি অব্যাহতি নিয়ে নিয়েছি।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘জমি দখলের চেষ্টার কথা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমরা চাই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ঋত্বিক কুমার ঘটককে স্মরণে রাখতে। এই জমির মালিক ঋত্বিক কুমারের মা ইন্দুবালা দেবী। আমরা এ নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ এই জমি ছাড় দিতে চাচ্ছে না। তারা ঋত্বিক কুমারের কোনো অস্তিত্ব রাখবে না।’
এদিকে কলেজ রক্ষার দাবিতে স্মারকলিপিসহ আন্দোলন করে আসছেন কলেজের শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে যোগ হয়েছেন স্থানীয় হোমিও চিকিৎসকরা। কলেজকে রক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে ডিএইচএমএস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ও বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, হোমিও পেশাজীবীদের স্মারকলিপিতে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটিকে ‘ভূইফোঁড়’ বলা হয়েছে। এই শব্দটি মানতে নারাজ সংগঠনটি।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন মাসুদ বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ এখন আমাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলেছে। আমরা প্রতিবছর ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা দিয়ে থাকি। সেখানে ভারত, নেপাল, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র অনুরাগীরা সম্মাননা গ্রহণ করেন। এমন সংগঠনকে কেন তারা ভূইফোঁড় বলছে, তা বোধগম্য নয়।’
কলেজের সঙ্গে বিরোধ নেই জানিয়ে মাহমুদ বলেন, ‘কলেজের দক্ষিণের জায়গাটুকু ঋত্বিক ঘটকের মায়ের নামে। কলেজ যেখানে আছে, থাকুক। কলেজটাও ঐতিহ্যবাহী। আমরা কলেজ দখল বা এর কোনো ক্ষতি চাই না। যে ফাঁকা জায়গাটি আছে, আমরা সেটুকু চাইছি। সেখানে সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে ঋত্বিক ঘটকের ফিল্ম ইনস্টিটিউট বা এ রকম করার চিন্তা আছে আমাদের। এখানে সংস্কৃতির চর্চা হবে। কলেজ তার জায়গাতে থাকবে। কলেজের যদি জায়গা প্রয়োজন হয়, তাহলে সেখানেই বহুতল ভবন তৈরি করুক।’
জানতে চাইলে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি এই কলেজে ২০১৫ সাল থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে আছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান বড় হচ্ছে। এখানে চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী আছে। আমাদের এই ভবনে তার জায়গা হচ্ছে না। বহির্বিভাগও করা হয়েছে একটি শ্রেণিকক্ষ নিয়ে। যে সংগঠনগুলো দাবি করছে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি, তা সত্য নয়। হোমিওপ্যাথিক কলেজের নামে তা ১৯৮৫ সালে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে খাজনা ও হোল্ডিং ট্যাক্স দিয়ে আসা হচ্ছে।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ পাশের নকশা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আমরা কাজ শুরু করব, কিন্তু কয়েকটি সংগঠনের বাধায় পারছি না। নতুন ভবনে বহির্বিভাগ, প্যাথলজি, শ্রেণিকক্ষ ও চারতলায় মিলনায়তন ভবন করা হবে। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও নতুন ভবন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। এই সমস্যা শেষ না হলে এখানে শিক্ষা ও উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি টুকটুক তালুকদার সারাবংলাকে বলেন, ‘এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এর আগেও তৎকালীন অতিরিক্তে জেলা প্রশাসক তদন্ত করেছিলেন। তা ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে ভূমি মন্ত্রণালয় কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন। তাও পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে ভূমি মন্ত্রণালয়।’
সারাবাংলা/টিআর