বৈধ হয়ে সড়কে আলাদা লেনে চলতে চায় অটোরিকশা
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৫
ঢাকা: অন্যান্য যানবাহনের মতো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো বৈধ হয়ে সড়কে চলতে চায়। সে জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি আলাদা লেন নিয়ে সড়কে চলার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে তারা এ সকল দাবি তুলে ধরেন।
সেখানে তারা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রন নীতিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানান।
তাদের দাবির মধ্যে আরও আছে, ওই নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়া, কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা।
চালক-মেকানিক-মালিকসহ ৬০ লাখ ও তাদের উপর নির্ভরশীল আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ না করা।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশাসহ নিহত-আহত সকল শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা, প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্প গতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা নিরসন কর।
ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ কর। জব্দকরা গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া ও চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।
সড়কে চাঁদাবাজি, হয়রানি, ব্যাটারি ছিনতাই বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও ছিনতাই চক্রের হোতাদের গ্রেফতার করে চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর এবং সকল শ্রমিকের জন্য আর্মি রেটে রেশন, পেনশন ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
এসব দাবি নিয়ে শনিবার ২৪ অক্টোবর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক খালেদুজ্জামান বলেন, সারাদেশে ৬০ লাখের মতো এ ধরনের গাড়ি রয়েছে। তারমধ্যে রাজধানী ঢাকায় আছে ১০ লাখ। এ সকল গাড়ি অবৈধভাবেই চলে। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ পরিবার। এদের বিকল্প উপায় না করে এভাবে তো বন্ধ করা যায় না। আমরা চাই একটা নীতামালা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে এদের বৈধতা দিয়ে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেওয়া হোক।
খালেদুজ্জামান বলেন, ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়কে উঠতে চাই না। শুধু ফিডার রোডগুলো যে আছে সেগুলোতে গাড়ি চালাতে দিক। আর যেসকল প্রধান সড়ক রয়েছে সেগুলোতে আলাদা লেন করে দেওয়া হোক। রুট পারমিট পেলে আর এই জটিলতা থাকবে না। পুরো ব্যবস্থায় শৃঙ্খলায় চলে আসবে বলে আশা প্রিকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ