দেয়ালে অনুপ্রেরণামূলক শিল্পের প্রদর্শন করা হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫০
ঢাকা: সারাদেশের ছাত্র ও যুবকদের নির্মিত বিভিন্ন দেয়াল অনুপ্রেরণামূলক শিল্পের প্রদর্শন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার পান্থপথের দৃকপাথ ভবনে ‘পেইন্ট দ্য স্কাই, মেক ইট ইওরস: তারুণ্যের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক।
প্রদর্শনীতে সারাদেশে ছাত্র ও যুবকদের আঁকা প্রাণবন্ত দেয়াল শিল্প দেখানো হয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে উপস্থাপন করেছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ ১২টি জেলা থেকে শিল্পকর্মগুলো এসেছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারাদেশের ছাত্র এবং যুবকদের দ্বারা নির্মিত দেয়াল শিল্পের একটি অনুপ্রেরণামূলক সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয়েছে। যা একটি সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। দেয়াল শিল্পকর্মগুলো আমাদের তরুণদের পরিবর্তন ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতে সীমাহীন সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, এটা খুবই শক্তিশালী মাধ্যম যা মনে বিশ্বাসের জন্ম দেয়। এটা আশা জাগায়। বড়রাও এতো বড় কল্পনা করতে পারবে না। বড় কবিতাতেও বলা যাবে না। আমাদের যুবক তুরুণরা দেয়াল শিল্পের মাধ্যমে তা করিয়ে দেখিয়েছে। যা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়, যা একটি সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাবে।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, একটি অবিশ্বাস্য এবং অভূতপূর্ব উপায়, ট্রমা এবং ত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশী ছাত্র এবং তরুণরা তাদের সৃজনশীলতা এবং শিল্পকে ব্যবহার করেছে দেশের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে। এই প্রদর্শনী ভবিষ্যতের জন্য তাদের উদ্বেগ এবং অগ্রাধিকারগুলি প্রদর্শন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কাঁদছে। এসময় আমরা দেয়াল লেখনির ও ছবির শক্তি দেখতে পেরেছি৷ যারা একাজটি করেছে তাদের সম্মান জানাই। দেয়াল লেখনির শক্তির ফলশ্রুতিতে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ ও স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি। যেমনটি ছিল আফ্রিকা-মেক্সিকোতে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইউনিক কাজ করেছে। আজকের এক্সিবিশনে প্রকাশ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশের, নতুন স্বপ্নের। যা আমাদের ইন্সপায়ার করছে। আমাদের ভবিষ্যতে ও সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সঙ্গী হিসেবে কাজ করতে চাই। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গঠনে যুবরা যে ভূমিকা পালন করে তা বিশ্বব্যাংক সবসময়ই স্বীকার করেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী যুবসমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শক্তিশালী চিত্রকর্মকে সম্মান জানাতে চাই।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগী ছিলো বিশ্বব্যাংক। ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে, বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় অনুদান, সুদ-মুক্ত ঋণ, এবং দেশটিকে তার উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে ৫২ টি চলমান প্রকল্পের প্রায় ১৬ বিলিয়ন অর্থায়ন সহ, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় আইডিএ প্রোগ্রাম রয়েছে। বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী।
সারাবাংলা/জেজে/এনজে