Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বছরে স্বাস্থ্য সেবায় বিদেশে চলে যায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৪৮

বিদেশে চিকিৎসাসেবা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতার কারণে প্রতিবছর একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে বছরে স্বাস্থ্য সেবায় বিদেশে প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা চলে যায়।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য খাতে বিদেশমুখিতা কমাতে দেশীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘ডব্লিউটিউও’র তথ্য মতে বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ মানুষই মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পায় না। সেইসঙ্গে স্থানীয় সেবায় প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মান না থাকায় বিদেশে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার প্রবণতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’

ডিসিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান হারে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সম্প্রতি বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিতে যাচ্ছে। যদিও অনেক চিকিৎসা স্থানীয়ভাবেও পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোবোটিক সার্জারির মতো স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা পাওয়া সম্ভব হলেও তুলনামূলকভাবে কম আত্মবিশ্বাস এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টির অভাবে বিদ্যমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের মাথাপিছু ব্যয় ১১০ মার্কিন ডলার, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ব্যয় হয় ৪০১ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১২৫ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতার কারণে দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিশ্বের অন্যান্য দেশের সেবা নিয়ে থাকে। ২০১২ সালে বিদেশে স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ায় বাংলাদেশীদের ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মালিক তালহা ইসমাইল বারী প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ হাজার ৪৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।, যার মধ্যে ১ হাজার ৮১০টি ঢাকা বিভাগে। পাশাপাশি ৩৬টি স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে ১৯টি ঢাকাতে হওয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন উন্নত স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত ঢাকার ওপর চাপ বাড়ছে।

জাতীয় অধ্যাপক এ কে খান আজাদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা স্বল্পতা, চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থার স্বল্পতা, সর্বোপরি কমফোর্টের অভাবে অসংখ্য লোক দেশের বাইরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করে ও সমাধানের মাধ্যমে রোগীদের বিদেশমুখিতা কমানো সম্ভব।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স’র সেক্রেটারি ডা. আবুল বাসার মো. জামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ। আমরা বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানিও করি। কিন্তু চিকিৎসা যন্ত্র উৎপাদনে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। এমতাবস্থায় এ খাতে আরও ভালো করতে হলে দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।’

বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন-এর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মীর সাদউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোভিডের সময় কেউ চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়নি। মহামারির সেই সময়ে আমরা পরিস্থিতি সামলাতে পেরেছি। এটা স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমাদের সক্ষমতা প্রতিফলিত করে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

চিকিৎসাসেবা টপ নিউজ বিদেশ

বিজ্ঞাপন

সিইসি ও ৪ কমিশনারের শপথ আজ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৩

ফের দাপট দেখালেন সাকিব
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪

আরো

সম্পর্কিত খবর