ডিভোর্স নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, আইনের আশ্রয়ে এ আর রহমান
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬
গেলো ১৯ নভেম্বর প্রায় তিন দশক দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু। দীর্ঘ ২৯ বছর একসাথে পথচলার এমন সমাপ্তি দেখে হতবাক অনুরাগীরাও। কি এমন ঘটলো যার জন্য এমন সিদ্ধান্ত – এসব নিয়েই নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কেন অস্কারজয়ী শিল্পীর ডিভোর্স ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার সহশিল্পী মোহিনী দে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় হয় নেটদুনিয়া। আরও নানা রটনা রটতে থাকে। মোহিনী ও রহমানের সন্তানেরা আগেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন এ আর রহমান।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে নিজের লিগ্যাল টিমের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি নোটিস শেয়ার করেন এ আর রহমান। কয়েক পাতার সেই নোটিসের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন তারা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন, তা নাহলে ভারতীয় আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন এ আর রহমান। তাদের তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন। এর আগে সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তার ও স্ত্রী সায়রার মধ্যে বেশকিছু সাংস্কৃতিক মত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তারা বিষয়টি সামলে চলেন বলেও জানিয়েছিলেন রহমান। শিল্পী জানিয়েছিলেন সায়রা বানু তার পছন্দ ছিলেন না। তবে সেসময় তিনিও বিয়ের জন্য মেয়েও খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। অগত্যা তার যখন ২৯ বছর বয়স, তখন সঙ্গীতশিল্পী তার মাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন পাত্রী খুঁজে দেওয়ার জন্য। শেষপর্যন্ত সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রহমানের। সেই বিয়ের ২৯ বছর পর পথচলায় ইতি টানলেন রহমান ও সায়রা।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের সহশিল্পী মোহিনী দে ও তার স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মনে করছেন বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন রহমান।
রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হতেই মুখ খুলেন এ আর রহমানের বড় মেয়ে রহিমা রহমান। সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে নিন্দুকদের একহাত নিয়ে লেখেন, ‘সবসময়ে মনে রাখবেন গুঞ্জন তারাই ছড়ায় যারা হিংসে করে বা আপনাকে ঘৃণা করে। মূর্খরা সেগুলো রটায়। আর বোকারা সেই ভুয়ো খবর, রটনাগুলোকে গিলতে থাকে। সত্যিই বলছি, নিজের চরকায় তেল দিন।’ রহিমার সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগড়ে দেন রহমানের ছোট মেয়ে খাতিজা রহমানও।
এদিকে রহমান-মোহিনী প্রসঙ্গে রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব বিতর্কের কোনও অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। প্রত্যেকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।’
সারাবাংলা/এএসজি
আইনি নোটিশ এ আর রহমান এ আর রহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স গুজব