Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি শুধু নিজের কথা না, রাষ্ট্রের কথা, আগামী দিনের কথাও বলে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৩

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ২৭ দফা রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচি দিয়েছিলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। পরবর্তীতে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন যার নেতৃত্ব দেন তারেক রহমান। বিএনপি শুধু নিজের কথা বলে না, রাষ্ট্রের কথা বলে, আগামী দিনের কথাও বলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে যে কাকে ভোট দেবে, কে দেশ শাসন করবে। সংস্কার হবেই, তবে তাতে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে।

তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দেশ থাকবে কিন্তু আমি, আপনি থাকবো না তবে সংস্কার চলতেই থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এই দেশের যত মঙ্গল তার সবই করেছেন শহিদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। আর তাই ৫ আগস্ট পরবর্তীতে যে সব ষড়যন্ত্র চলছে তাতে ন্যাবসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নিয়ে অনেকেই বলেছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে আজকের আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে কালকের সূর্যোদয় কেমন হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা যদি ১৯৪৭ অস্বীকার করি, ১৯৫২ হবে না, ৫২ না হলে ১৯৬২ হবে না। ১৯৬২ না হলে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান হবে না। গণঅভ্যুত্থান না হলে ১৯৭১ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হবে না।

তিনি বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তিনি কিন্তু আত্মসমর্পণ করেননি। জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলা এবং ইংরেজিতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের ওপর নির্ভর করেছেন। যে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষ দেখেছে, সেই বাংলাদেশ চাল রপ্তানি করেছে। সাড়ে চার বছর যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার সময় পেয়েছেন, কোনদিকে তিনি হাত দেননি। নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে শুরু করে শিশু একাডেমি, একুশে পদক, নারী উন্নয়ন, যুবকদের দেশ গঠনে কাজে লাগানো সব করেছেন জিয়াউর রহমান।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় ন্যাবের সভাপতি জাহানারা খাতুন বলেন, আমি সব সময় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভক্ত ছিলাম। তিনি নার্সিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছিলেন প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়। তিনি নার্সিং স্বর্ণপদক চালু করেছিলেন। যেটি এখন বন্ধ। আমরা চাই নার্সিং ইনস্টিটিউট একসঙ্গে কাজ করুক। আবার আমরা যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারি।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক যুগসন্ধিক্ষণ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করি তার পরেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক কালো অধ্যায় এসেছিল।

তিনি বলেন, বাকশালের কাল থাবায় মানুষের ভাষা কেড়ে নিয়েছিল। নাগরিকদের মাঝে ছিল এক ধরনের অস্থিরতা। ছিল শুধু গুম, খুন সহ নানা ধরণের রাজনৈতিক চক্রান্ত। সেই চক্রান্ত থেকে মানুষ যখন মুক্তি চাচ্ছিলেন তখন তৈরি হয়েছিল এই সিপাহি বিপ্লব।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান সে সময় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। নার্সিং ইনস্টিটিউট করেছেন। আপনারা দেখবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনারা একটু সাবধানে পা ফেলেন। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আমরা তাদের অপসারণ চাই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব সভাপতি হারুন অর রশিদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/ইআ

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ন্যাব বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর