শপথের সম্মানটা ধরে রাখতে চাই: সিইসি
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:০৫
ঢাকা: সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নেওয়া শপথের সম্মান ধরে রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন এ এম এম নাসির উদ্দীন।
তিনি বলেন, যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না। আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি সুযোগ (অপরচুনিটি) হিসেবে দেখছি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নবনিযুক্ত সিইসি এসব কথা বলেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন জানিয়ে সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা অবাধ, সুষ্ঠু (ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার) একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে। অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন (ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন) দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতবন্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব।
‘আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশববাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব,’— বলেন নাসির উদ্দীন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচন করতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় (অ্যাসেনশিয়াল) সংস্কার লাগবে। যেমন— এখন নানা রকম কথা হচ্ছে, আনুপাতিক ভোটের হার নাকি আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয়, তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে?
ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য সংস্কারকাজের কথা তুলে ধরে নাসির উদ্দীন বলেন, তরুণ প্রজন্ম বছরের পর বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তাদের তো ভোটার তালিকায় আনতে হবে। আমাকে ভোটার তালিকা করতে হবে। কোথায় কোথায় সংস্কার দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণেযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
কবে নাগাদ নির্বাচন দেবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, দিনক্ষণ দিয়ে তো এখন বলা যাবে না। আগে দায়িত্বটা নিই, কাজকর্ম বুঝে নিই, আমাদের বুঝতে তো দেবেন!
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে প্রধান বিচারপতির কাছে সিইসি হিসেবে শপথ নেন নাসির উদ্দীন। পরে আরও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নেন। এর মধ্যমে দুই মাস ২০ দিন পর দেশ পেল নির্বাচন কমিশন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় ৫ সেপ্টেম্বর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেছিল। এরপর নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ৩১ অক্টোবর সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। ওই কমিটির প্রস্তাব করা ১০ জনের তালিকা থেকে গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর