কপাল খুলতে যাচ্ছে বঞ্চিত অতিরিক্ত সচিবদের, পাচ্ছেন গ্রেড-১
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫১
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বঞ্চিত অতিরিক্ত সচিবরা সুবিধা পেতে যাচ্ছেন। প্রশাসনের এসকল কর্মকর্তাদের গ্রেড-১ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির পর অল্প সময়ের মধ্যে অবসরে যাবেন তাদেরও গ্রেড-১ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পদায়নের জন্য নতুন করে ফিটলিস্ট করা হচ্ছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘বিসিএস নিয়োগের বিষয়ে আমাদের কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব যোগদান করেছেন। এসএসবি ফরমেশন হয়েছে। উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দ্রুত সময়ে শুরু হবে। যেহেতু অনেকের পদোন্নতি দেওয়ার জন্য পদ দেওয়া যায়নি। কিন্তু ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি বাদ পড়া আরেকটা বিষয়। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব আরেকটা।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনেক বিতর্ক অনেক দিন হয়েছে, নতুন ডিসি ফিটলিস্ট করার কাজটা শুরু হবে। এই কাজটা যে রকম গতবার দিনেরাতে করতে হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত আমরা নতুন ডিসি দেওয়ার চেষ্টা করবো। এ কাজটা এসএসবি’র মাধ্যমে শিগগরি শুরু হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জনপ্রশাসন সচিব আরো বলেন, বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব, তারা ১৩ দিনে তিন পদোন্নতি পেয়েছেন। এটা বিষয় নয়। তারা সারা বছরই বঞ্চিত ছিলেন। এই বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব হয়ে চাকরির শেষ প্রান্তে, সিদ্ধান্ত হয়েছে গ্রেড-১ দিয়ে তাদের পদোন্নতি দেব। অনেকের এক মাস আছে, ১৫ দিন আছে, ২০ দিন আছে। এটা আমি মনে করি অনেকের পদোন্নতি হবে এবং সামাজিক, পারিবারিক, আর্থিকভাবে তারা উপকৃত হবেন। এটার জন্য তারা চাকরি করেন।
এক্ষেত্রে দুই ভাগে পদোন্নতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বঞ্চিত যারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের সকলকে গ্রেড-১ দেওয়া হবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারি যারা চাকরি করি বিধি-বিধানের মাধ্যমে করতে হয়। যদি শৃঙ্খলা ভঙ্গের মামলা থাকে, ফৌজদারি মামলা থাকে, যদি কারও বিরুদ্ধে যেমন এক কলিগের বিরুদ্ধে আরেক কলিগের মোটরসাইকেল চুরির মামলা, মানে মামলা- মোকদ্দমা-অভিযোগ-তদন্ত যদি থাকে এদের বিবেচনায় আনা হবে না। তাদের গ্রেড-১ দেওয়া হবে না।
অন্য ক্যাডারের পদোন্নতি বিধি মোতাবেক শুরু হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আর নতুন করে দল বেধে দাবি করার কিছু নেই। যে বিষয়গুলো চিহ্নিত সে বিষয়গুলো সরকার বিধি মোতাবেক যার যতটুকু প্রাপ্য সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
বিসিএসে কোটা পদ্ধতি কীভাবে প্রয়োগ হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৭ শতাংশ অন্যান্য এবং ৯৩ শতাংশ মেধা, সেভাবে হবে। যেভাবে আদালতের রায় রয়েছে। সেভাবেই বাস্তবায়ন হবে।
সারাবাংলা/জেআর/আরএস