যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের বাজারেও পোশাক রফতানি কমেছে
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২১:১৭
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের বাজারেও দেশের পোশাক রফতানি কমেছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি কমেছে ২ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও পোশাক রফতানি কমার তথ্য পাওয়া যায়।
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে যেখানে এই সময়ে দেশটিতে পোশাক রফতানি হয়েছিলো ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের, সেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। তবে পরের বছর ২০২৩ সালে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপের বাজারে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের একই সমেয় রফতানি হয়েছিলো ১৪ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রথম ৯ মাসে ইউরোপের বাজারে পোশাক রফতানি কমছে ২.০৬ শতাংশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, বিশ্ব থেকে ইউরোপের পোশাক আমদানিও কমেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে বিশ্ব থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ পোশাক আমদানি কম করেছে ২ দশমিক শূণ্য ২ শতাংশ।
তথ্যমতে, ইউরোপে চীনের পোশাক রফতানি কমেছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তুর্কীর ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ভারতের শূণ্য দশমিক ৬৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ১ দশমিক ২২ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার পোশাক রফতানি কমেছে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বিপরীতে ইউরোপের বাজারে কম্বোডিয়ার পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ভিয়েতনামের দশমিক ২১ শতাংশ, পাকিস্তানের ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও মরোক্কোর বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর