বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামেনি ২ ঘণ্টাতেও, হাসপাতালে ৩০
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ০১:৩৭
ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও সাত রাস্তাসংলগ্ন দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার সংঘর্ষ দুই ঘণ্টা পরও থামেনি। এ সময়ের মধ্যেদুই প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত ১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তবে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ তার অনুসারী কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের পক্ষের কিছু শিক্ষার্থীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার দুপুরের এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের পাশের রোডে শিক্ষার্থীরা বৈঠক করতে যান। তখন বুটেক্সের কিছু শিক্ষার্থী পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের এই স্থান থেকে সরে যেতে বলেন। কথা কাটাকাটির জেরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ।
বুটেক্স শিক্ষার্থীদের দাবি, মূলত আধিপত্য বিস্তার ঘিরে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই বাঁশের লাঠি, রড, পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসেনি। সংঘর্ষের ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে এ সংষর্ঘের আহত অন্তত ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরো হলেন— ইমন (২৪), উৎসব (২৪), আজাদ (২৪), বুলবুল (২৪), প্রাশান্ত (২৪), শিশির (২৪), তৌফিক (২২), রুদ্র (২৩), আনান (১৮), জুনায়েদ (২৪), সমিক (২৪), ইমন (২০), রাকিব (২০), নাহিদ (২৩), ইমন (২৩), প্রবাল (২২), রমজান (২২), মো. মিঠুন (২১), ইমরান (২১), নাদিম (২০), ফাহাদ (১৯), খালেক (১৯), সোহান (২২), আমিন (২২), রিফাত বিশ্বাস (১৮), তপু (২০), মেহেদী (২১), পার্থ (২৪) ও হাসান (১৮)।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, তেজগাঁওয়ের মারামারির ঘটনায় প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে এসেছে। সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/টিআর